সিগন্যাল
[উৎসর্গ:
স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের যাঁরা সহপাঠীর রোড
এক্সিডেন্টের, প্রতিবাদ করতে
বাংলাদেশের রাস্তায় নেমেছিলো। …প্রতিবাদ ভুলতে থাকা মানুষকে আবারও প্রতিবাদের ভাষা
শিখিয়েছিলো]
প্রেরক প্রাপক
স্কুল
ইউনিফর্ম ট্রাফিক
গালিবাজ
সকালকে স্যালুট জানিয়ে ছুটছে বেপরোয়া চাকা…
জুতোর ফিতে খুলে খুলে রোদের শ্লোগান। কল্পনাকে তুরি মেরে মেঘ
ছুঁয়েছে ঘুড়ি। মাঞ্জা সুতায় কাটা গ্যাছে হাসির নাক।
বিকট হর্ণে শহর এখনও ভাঙাচ্ছে ঘুম!
হাসির
দাঁত ভেঙে স্বপ্ন জাগে… এখনও কি হা করে আছে চাকা?
ইজিচেয়ার
প্রেরক প্রাপক
ছোটদিনের
সন্ধ্যা বারান্দার ঝুল
খোঁজহীন
চেয়ারকে চিঠি দিতে মনে পড়তো না
যদি না বুকের ভেতর পা তুলে বসতো বারান্দা।
ডোরাকাটা বিকেল হেলতে শুরু করে…
আদরের
পোকাকে প্রায়ই গিলত উদ্ধত হয় গৃহস্থ টিকটিকিটা। আর লেজ খসে খসে লাফায় কামিনীপাতা। চুমুগুলো জাপটে জানালার কাচে টোকা মারছে মেঘ…
ছোটদিনের সন্ধ্যা ডার্বির ধোঁয়ায় ডুব দিয়ে তুলে আনে ঝমঝমে ঘুম
ছিটকিনি
প্রেরক প্রাপক
চুমুর
ঠোঁট শিউলিতলা
চোখের
যে মোড়ে গাছের সবথেকে উঁচু ডাল দাঁড়ায় সেখান থেকে প্রতিসন্ধ্যায় হারিয়ে যাও তুমি… অথচ
মশারীর ফাঁকে আটকে থাকা জোনাকীকে বাঁচানো গেল না! সিগারেটের পরিবর্তে
হাতে যখন সোনারোদ শালিকের জোড়া সঙ্কেতটা খসে পড়লো ধানক্ষেতে...
তোমার
প্রাচীন বারান্দার সামনে নিশ্চয়ই এখন শিউলি জমেছে?
আর মাঠে মাঠে ঘাসের দল আঙুল বিছাচ্ছে? গত বর্ষায় যে
বৃষ্টিরা আটকে পড়েছে
অসংখ্য জানালায়, ওদের একটু আগুন দিও… কেননা
ওরা পৌঁছে দিতে চায় প্রথম চুমুর ঠোঁট…
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন