বাক্যের অধিক
যা বলিনি
বাক্যের অধিক
যা বলেছি প্রতিধ্বনি কোরো
শুধু সেইটুকু নাও যেটুকু শোভনীয়
আমি দুয়ার আগলে রাখি ঘট, জলছড়া
বিসর্জন শেষ হলে
এই সত্যে মনে মনে নিত্য জপি
দূর হও দূর হও মাংসাশী ছেলে
জেনো জিভের আগায় ছিল বিষ
যা বলিনি, বাক্যের অধিক
যা বলেছি প্রতিধ্বনি কোরো
শুধু সেইটুকু নাও যেটুকু শোভনীয়
আমি দুয়ার আগলে রাখি ঘট, জলছড়া
বিসর্জন শেষ হলে
এই সত্যে মনে মনে নিত্য জপি
দূর হও দূর হও মাংসাশী ছেলে
জেনো জিভের আগায় ছিল বিষ
যা বলিনি, বাক্যের অধিক
ঈশ্বর ও প্রেমিক
তবুও
খুলছে না জট
ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলিনি আমি
সে কিছুটা
দূরে দাঁড়িয়ে থাকে উদাসীন সমস্যাগুলো পায়ে পায়ে খেলে
যে আমাকে তাড়া করে
ছুঁয়ে দেয় প্রায়
তার মুখ
মানুষের মতো সৎ ও পবিত্র
আমি
ওতপ্রোত জড়িয়ে থাকি
প্রেমিকের
হাত
ঘুমের
গভীরে নিশা রঙ অন্ধকার
ক্রমশ গাঢ় হয়ে ওঠে
অপর্যাপ্ত
ভোরে মৃত্যুঘুম
ভারী করে
হাত ও পায়ের পাতা
শকুন
প্রজনন কেন্দ্রে
সর্বাঙ্গ
দিয়ে ছুঁয়ে থাকে প্রেমিক আমার
তার মুখ
মানুষের মতো সৎ
মৃত্যুর
মতো নীল, তবু
সে ছাড়েনি
হাত
এতোটাই
গভীর
তবুও
ঈশ্বর! সে কিছুটা দূরে
উদাসীন
দাড়ির জঙ্গলে কী জানি
কী ভাবনে
বিভোর! বাঁচাতে আসেনি সে,
বাঁচাতে
আসে না...
বিচ্ছেদ
বিচ্ছেদের গল্পগুলো ছোট
যৌনতার গন্ধ যেমন
জামাকাপড় পরে ফেলার পরে
শান্ত স্থিতু হয়ে বসে
তারপর ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসে
বিচ্ছেদের গল্পগুলো উদোম ছবির মতো
স্ক্রল করলেই শেষ। চার্বাক পন্থায়
দু’চারটে কাটাকাটা কথার পরেই আমরা জামাকাপড় খুলে শুয়ে
পড়েছিলাম, সেসব গতজন্মের কথা শীতের উলেন পোষাকে তামাকপাতার
মতো লেপ্টে আছে।
শরীরের বাঁক মরে এলে সমস্ত নদীর গল্পই
থেমে যায়, অশ্বের ক্ষুরের মতো
এঁদো
জলাশয়ে গুমরে গুমরে মরে
জীর্ণ পাতার গীত
"আমি যে গান গেয়েছিলেম"
যেখানে যেটুকু রীতি এই ভেবে
সাদা চুল সিগারেট মদের বোতল গুছিয়ে
নিয়ে প্রেমিকেরা উঠে গেছে একে একে
এতটাই ছোটগল্প একটি পাতাও উল্টোতে হয়নি তোমাকে আমাকে।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন