ভরাডুবি
এই প্রথম তুমি মৃত্যু ছুঁয়েছ
জল থেকে উঠে আসছে বেবাক নীল,
এত নীল তীব্রতায় ফুসফুসও হাঁমুখ
শ্বাসে আটকে আছে বিবর্ণ শ্যাওলার স্তূপ
জলের ভিতরে এতটুকু শব্দ নেই
অথচ কারা চেঁচিয়ে উঠলো 'জয়কালী'
কেমন ডুবে গেলো খড়মাটির দীঘল কাঠামো
তখনও গাল ও কপাল সিঁদুর মাখামাখি
কী পরিপাটি উজ্জ্বল পারঘাট!
একটা গোটা সংসার তলিয়ে গেল আর
এই প্রথম সে বাধ্য মেয়ের মতো আগুনে সঁপে দিচ্ছে সধবা আঙুল,
প্রিয় আঙুরলতা চুল
বাদামী চোখের তারা
সামান্য হাওয়াটুকু স্পর্শ করছে আগুন,
থিতিয়ে যাওয়া পলির কোমল
তারপর ধূ ধূ শূন্যতা...
মমি
আমাদের ঘর গেরস্তি জুড়ে ওষুধের গন্ধ...
পরতে পরতে কাপড়
মুখ ও ওষ্ঠে জড়ানো
আমরা বালি খাই, বালি খেলি,
উড়িয়ে দিই সুদ আসল
আমাদের অশুদ্ধ জীবন সঙ্গীত লেখা থাকে বালির খাদানে...
আয়না জানে প্রতিবিম্ব ছাড়া সবটাই মৃত...
হাওয়ার মরসুম
আমাদের দেখা হয় পরিণত দিনে
দুজনেই বয়সের কথা
বলি সন্ততির কথা
প্রতিষ্ঠিত করি আমাদের ঘর শ্রেষ্ঠ বর...
শব্দ জাদুকর হাত পা নেড়ে ধর্মের কথা বলে, মিথ্যেগুলো চাপা দিতে দিতে
তুই ভাবিস ঈশ্বর করুণাময়
আমি ভাবি আমাদের সুতো বাঁধা আছে
একমাত্র ঈশ্বর সমস্ত মৃত্যুর জন্যে দায়ী
চাদরের নিচে চাপা ঘায়ে ঈশ্বর বিজবিজ করে
আঁশবটি মুরগী ও রক্ত ঢেকে আমরা
খলখল করে হেসে উঠি,
দাঁতে চাপা শেষ রাতের অসুখের গল্পটা
বেরিয়ে পড়তে চায়
বারবার শূন্য থেকে শুরু করে আমরা আবার
পৌঁছে যাই অনন্ত শূন্যে
তবুও হাওয়ার মরসুম আসে
পারস্পরিক দৃষ্টি
বিনিময়ের পরে
আমরা বুঝে যাই দুজনেই অভিনয় করেছি।
(চৈতালিকে কিছু
কথা)
প্লাস্টিক সিরিজ ৩
একটা ইতর খড়খড়ে দাঁতে কাঠি দিয়ে ক্রমাগত খুঁচিয়ে চলেছে
অপাচ্য মন্তব্য। ভেজা বারান্দা থেকে পচা পালকের গন্ধ। অসুখ বসন্তে চারিদিকে খুশিখুশি
ভাব। জমিয়ে রান্না চড়ছে। তিনকোণা প্লাস্টিকে মরা খোসা। ইঁদুরের দাঁত কুটকুট অগ্রাহ্য
করে কারা যেন ম্যারাপ বেঁধেছে। প্রবল তামাশা। গলা দিয়ে ভাত নামছে না। অথচ বঁটি পেতে কুচিকুচি করে কেটে চলেছে আধবুড়ি
সকাল।
খড়মাটির দীঘল কাঠামো
উত্তরমুছুন