চিরকুট
(১)
সেদিন নেমে গেছি, জলের কাছে। স্বাধীনতা অস্থিহীন এক বিজয়পোকা। আমাদের জানালার পাশে ইতিউতি ওড়ে।
দোল খায়। শব্দ করে। আগুন জ্বালে। জ্বলতে জ্বলতে শাহবাগের মোড়ে নিভে যেতে দেখেছি কত
আগুন!
(২)
সেদিন দাঁড়িয়েছি সেতুকোণে।
অজস্র মানুষ, ঝিঁঝিঁ পোকার
গুঞ্জন। তাদেরকে আমি ঠিক বুঝি না। নরোত্তম
তোমার দাঁতে কি লেগে আছে মাংসখণ্ড, আঙুলে রক্ত? দেখলাম, গণতন্ত্রের নামে মানুষ
হালকা ছাপ রেখে যায় হৃদয়ে। ওহে স্বাধীনতা, জাফরানের মতো লাল হৃদয় তোমার, নারীবাদের নামে ফেলে এসেছি প্রতারণা। সেদিন নেমেছি। নামতে
নামতে জলপাইবৃষ্টি। আরো গভীরে সমস্র মরণ একসাথে জ্বলছিলো দাউদাউ করে।
(৩)
বলেছিলে যাবে। হাতের কাজ শেষ হলে, নির্দ্বিধায়। ক্ষুধার্ত রাত এইভাবে জেগে থাকে বৃক্ষের
অন্তরে।
জীবিত কিংবা মৃত। আমরা কদাচিৎ নেমে যাই। নীরবতা পালনকারীদের
ভিন্ন আকাশ। সে আকাশে কোনো রঙিন ঘুড়ি নেই।
সাদাকালো ঘুড়ি দেখতে দেখতে আমরা গুটিয়ে
নিয়েছি বিস্তৃত পথ।
বলেছিলে যাবে। লৌকিক আকাশের সব আলো নিভিয়ে।
(৪)
এখন শীতকাল। খুব মনে পড়ে বৃষ্টিকে।
আরো মনে পড়ে তোমার আঙুলে খোদাই করা নস্টালজিক দিন। পিপাসা
নেই,
কেবল তুলার মতো বিগত দিনের নির্জনতা।
সেগুন শরীরে এইসব ঘুণধরা আঁধার নিয়ে
ভেসে চলছে আমাদের
কাঠের জাহাজ।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন