ঈশ্বরের সমাধি
(১)
বহুদিনের পরিচিত সাবানের গন্ধটা করোটির অন্ধকারে মিশে যায়
একভাবে-
একদল নিঃসঙ্গ মানুষ একাকী মনের ব্যবচ্ছেদ করেন
মর্গের মতো দমবন্ধ ঘরে।
জীবন থেকে পরীর প্রণয় যে অনেকটাই দূরত্বে...
(২)
অস্পষ্ট স্মৃতির মাইলফলক। কোনোটার রঙ, কোনটা সংখ্যা উড়ে যাওয়া...
পৃথিবী তার বুকের ঘাসের রঙ বদলে ফেলে ঈশ্বরের সমাধিতে,
মৃত্যু থেকে সার্ধশত দূরত্বে
আলোর রেত পড়ে
যেখানে
কবিতা জ্বলে নির্ঘুম নক্ষত্রপুঞ্জের মতো!
সুখের পানকৌড়ি
জল পায়ে দাঁড়াতে শেখেনি তাই খরস্রোতা আমারই মতো সঙ্গহারা।
কত কত শেকড়ের ভেলা ভাসে তার
বেহুলাযাত্রায়...
অন্তিমে
পলিনির্ভর সভ্যতায় শুধু রূপকথা নয়, গন্ধমবীজও ফলে।
দুঃখশালুকে হেঁটে বেড়ায়
সুখের
পানকৌড়ি। আমার একার
অথ জীবনপ্রবাহ
বিগত বর্ষায় চিনির বয়ামে দু-চারটে মরা পিঁপড়ে ছাড়া
আর কোনো
হত্যা নেই আমার।
খুন-খারাপির থেকে বহুদূরে হয় তল্লাশি, নিজের সত্য ঢেকে
গালগল্পে পড়শীর মিথ্যে বড্ড বেশি ভালো লাগে যাদের
যারা নীচু হয়ে খোঁজে গোলাপের ভার্জিনিটি,
কচুরীপানার চাইতে কাদাজল
তাদের প্রতি আগ্রহ নেই আমার।
শোক পেরিয়ে
সান্ত্বনা, অতঃপর রাত্রিবাস আমার
শুয়ে শুয়ে চাঁদ রচনা করে
মসলন্দ মাদুরে...
ধনেপাতার সাথে কব্জি-ডোবানো লাল মাংস-রুটি,
আমার বিরহ ঘুম, তপস্যা, ব্রতী রাত পেরোলেই
লক্ষ মাইল দূরে সূর্য অনুকূল হাসে,
মঠের সকাল
শুরু জীবনপ্রবাহে ...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন