গাছের সূত্রে আমি মানুষ
একহাত স্বপ্ন খুলে রাখা গাছের তলায়
গাছের সূত্রে আমি মানুষ-
অবিশ্বাস করি না। ঝুরোমাটি মাখা
একটা হাসি খুঁজি।
সারিনা তুমি যে এসেছিলে
ছায়াসত্যির কাছে - কেউ দেখেছে?
তুমি না বড্ড ফাজিল! জ্যৈষ্ঠের মাসেই কেউ
ফজলি আমের কথা বলে! এখন তো
বৃক্ষ লাগানোর মরসুম। বাগানে বাগানে
সেলফি তোলার বয়স। আর গাছেদের
জীবনযুদ্ধের কথা শোনা এক হাঁটাহাঁটি বিকেল
ঘ্রাণের সাথে নেওয়ার সময়।
প্রাগৈতিহাসিক চাক্
প্রকাশিত কবিতার চেয়ে পাণ্ডুলিপি টানে বেশি
অতীতের নিশ্চয়তা দেয়
সময় টেনে নেয় হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোকেও
নাম না জানা সব গ্রাম-গঞ্জ, কুমোর খুঁজি, কুমোর...
খুঁজি প্রাগৈতিহাসিক চাক্। খুঁজে পাই - আটকে পড়ি
ভাঙাচোরা বর্ণমালারা সব সশব্দে বেজে ওঠে।
মাটির পাত্রে বেজে ওঠে ঠনঠন রব
শাদা বুকে ফুটে ওঠে অলঙ্কার সজ্জা
ভিনদেশী ব্যাপারী যত একই গড়ন
কিনে নেয় কুমোরের সব।
অসুখ রাত্রি
চাদর মুড়ি দেওয়া শরীর জ্বরের খুঁটিতে বাঁধা।
স্বপ্নের তাপমাত্রা ওঠা-নামা করে ঘুমের ঘোরে
এখনো কৈশোর আসেনি খেলার মাঠে।
সন্ধ্যে থমকে আছে শিশুদের কোলাহলে
‘মা’-ও আসে সন্তানের পাশে আর একটু দেরি করে
স্তনপানে বিরূপ শিশু শুয়ে পাশ ফিরে।
ঘাম ছাড়ে সারারাত, ক্ষুধার ভাব ক্লান্ত শরীরে।
বেগুনী ছটা নিয়ে জেগে ওঠে কতকাল বাদে
জানালাতে দাঁড়িয়ে দেখে রোদ্দুর লেপে দিয়ে দুয়ারে
অসুখ রাত্রির ধুলোবালি একপাশে করে দেয় ‘মা’ ঝাড়ু হাতে।
বেদনার কেয়ারী
সারি সারি বেদনারা ভিড় করে দুপুরের দুর্বোধ্য রাস্তায়
ট্রাফিক পুলিশ শব্দ-জব্দ নিয়ে করে খেলা।
রাতের বিছানা পেতেছে মৃত্যুফাঁদ অন্ধকার ভেদ করে,
মেরুদণ্ডহীন তীরের ফলা মরচে নিয়ে দাঁড়িয়ে
বিন্দু বিন্দু বিষ জমেছে খুব।
এত জটিলতার কেয়ারীতেও পুষ্প-উদ্যান
তাকিয়ে দেখে মেনোপজের অদূরে দাঁড়িয়ে সেই
দৈনিক মধ্যবয়সিনী খিলখিল হাসি হেসে যায়।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন