তোমাকে...
(১)
আমাকে পেখম ভেবে
যেভাবে মেঘের খোঁজ করো তুমি
আদিগন্ত ভুলে আমিও
একা একা
শিখে নিই একেকটি কত্থক
আর সাজানো সংসার
খুঁটিনাটি
নিয়ে
নৃত্যনাট্য হয়ে ওঠে
(২)
ঝড় বাতাসের ছল
উড়ে উড়ে
ভেজার আশঙ্কায়
সন্ধের ইমন রপ্ত করছে
কুপিত বিশ্রাম
তাকে তুমি মৃদু সোহাগে ভরাও
(৩)
শীতবন ভেঙে জেগে ওঠে
বিধুর হে
তোমার ভঙ্গিমা
একা নিষাদের ছলে
বাঁশিকে জ্বালায়
হলুদ আওয়াজে শহরের ঘুম
কে সে ফেরার কায়দায়
আমাকে কাঁদায় অবসরে
পূর্বাশ্রম
(১)
ধীরে ধীরে ভাঙে এই মোহ! স্পর্শহীন আলোবন। সমস্ত গান এসে বসে
পরিযায়ী বেশে। তাঁতগন্ধে লেগে থাকে জারুলের রঙ। নিষাদ দুপুর ভেঙে ধৈবত বিকেল।
ফেরে। হাই তোলে ছোটবেলা। ভাঙা রীডে কে তাকে রোজ রেওয়াজে বসায়। গল্প শোনে শুক
সারি...সোহাগে ভরায়। বলে, 'আয় চুল বেঁধে
দিই'!
(২)
তুমিও গানের মতো। অস্পষ্ট। অন্তহীন। সুর আর সুর। আলো আর
আলো। কত মরুভূমি ভেঙে আমি তৃষ্ণার্ত পথিক; ভুলে বায়বীয় সার। রেখাহীন পথ; পিছুডাক ফেলে
বৈষ্ণব তিলকে আঁকি নিগমের শোক। বাগানের কোণে বাঁশি বাজে; আলো হাতে খুঁজি কার মুখ--- ঈশ্বর তাকেই বলি, আলতিমাসের মত যে আত্মহত্যা শেখাতে পারে।
(৩)
কতদিন পর গান এল ঘরে। আমি তখন রোদে মেলছি পশমের কাপড়। হত্যা
করছি পুতিগন্ধময় ছারপোকা। পুবের দরজা দিয়ে নামছে গোধূলি আকাশ। সিঁদুরমাখা
নববিবাহিত মেঘ। সরগম চাইতে এসেছে ব্রজবাসী। উত্তরীয়তে লেগে মায়াবী বোঝাপড়া। ঘনিষ্ঠ
কারাবাস ভেঙে আমি ফিরছি ঘরে। আমি ফিরছি গান্ধার ঋষভে। তখনই গান এল ঘরে; ভরা শীতে-- পোষা মুরগীর মাংস খাবে বলে।
কবিতা গুলো পুরোটাই চিত্রনাট্য
উত্তরমুছুন