কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬

পৃথা রায়চৌধুরী

মঞ্চস্থ

আলবিদা বলার হাতে জড়তা সঁপে দিয়ে
ফিরে আসা যায় মহীয়সী রূপ উঠোনে,
অনাদায়ী আপেল গাছ ফলসম্ভবা হয়ে
ধার্য করে দেয় তুমি আমি শাখায়
বিশ্রামরত কিচ্মিচ্দের দিন বাসা বদলের

মেঘলা দিগন্ত থেকে ওই হলুদ পাতার কার্নিশে
লেখা থাকে প্রেমিকের ঝোড়ো ছাপ অকপট
নদীর বহতা কেবল ধরা পড়ে না সদ্যস্নানে,
আনন্দ থেকে কুয়াশা কাচ হয়ে ক্যানভাস জন্ম নিলে
বুনো হাঁসেরা বেরোয় প্যাচপ্যাচেহীন পাড় সন্ধানে

দিন কুঁচকে আসে, সমুদ্রের মাঝে বসবাস...
আইলাইনার কোনোদিন ব্যবহার করিনি জেনে
খুশিয়াল বলেছ, কাজল পুকুরের উদ্বোধনে চাই
ধমনী আক্রান্ত প্রদীপের জ্বলে ওঠা নির্নিমেষ।


ছিটেফোঁটা

সন্ধ্যেবেলা বৃষ্টি নামলেই চোখ গিয়ে বসে
পড়শি নিম্নবিত্তের প্যাচপ্যাচে উঠোন কোণে
রংজ্বলা জ্যালজ্যালে কস্তাপাড় আলতো ভিজে
বিদেশী উষ্ণতা, টিক্কা কাবাব, সাঁঝবাতির ভাস্কর্য
আহা, বিরক্তিকর ঝুপঝুপ কে বলে...
তাদের নেই এমন সান্ধ্যজানালা।

নারায়ণ, নারায়ণ, এমন সময় শুকনো রাখো
না হয় দিও নতুন বারো হাত
পাঞ্চালী, কোন কৃষ্ণের কাপড়কল ছিল
জানাবে আমায়?

কৃষ্ণা সংখ্যার বৃদ্ধি হওয়ায়
পার্থসারথির চির অকুলান,
ব্যবসায় ফায়দা বুঝে বন্ধ
মুফ্তের বস্ত্রদান;
এখন লক্ষ্মী হাসেন,
পাঁচশো এক, পাঁচশো দুই, পাঁচশো তিন...
এর বেশি কেউ?


অহংকারী, শোনো...

ভুলো না,
সিঁড়িরও তোয়াজ করতে হয়
দৈবাৎ অবহেলায় ভেঙ্গে গেলে
মেলে না পালাবার রাস্তা
ভূমিকম্পের কালে...
বাঁচবে?





0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন