আইরিশ সমাজে নারীর অবস্থান
আয়ারল্যান্ড
(Ireland) দেশটির অবস্থান ইউরোপের উত্তর পশ্চিম এবং গ্রেট ব্রিটেনের একেবারে পশ্চিমে। তা এ হেন আয়ারল্যান্ড দেশটিকে প্রাচীনপন্থী আইরিশরা মাদার আয়ারল্যান্ড (Mother Ireland) বলেও ডেকে থাকেন। শোনা যায় আয়ারল্যান্ড দেশটি নাকি মাতৃতান্ত্রিক, আর তাই মাদার শব্দের উল্লেখ। Eavan
Bolandএর উক্তিতে এও জানা যায়, “The heroine,... was utterly passive. She was Ireland or Hibernia. She
was stamped, as a rubbed-away mark, on silver or gold;... Or she was a nineteenth-century image of girlhood,... She was invoked, addressed, remembered,
loved, regretted. And most importantly, died for. She was a mother or a virgin...
Her identity was as an image. Or was it a fiction?” অর্থাৎ কুমারী মায়ের প্রসঙ্গ, ঠিক যেমন মাদার মেরী, তেমনই মাদার আয়ারল্যান্ড। এই মিথকে যদি তেমন আমল নাও দেওয়া হয়, তাহলেও কিন্তু আয়ারল্যান্ড যে মাতৃতান্ত্রিক দেশ, এ তথ্যটি পাল্টায় না এবং এর স্বপক্ষে হাজার হাজার উদাহরণও পেশ করা যায়। পুরুষ হলো সংস্কৃতির প্রতীক, আর নারী হলো প্রকৃতির... এই উভয়ের মেলবন্ধনেই সুস্থ সমাজের প্রতিষ্ঠা। মা (Mother) এমন একজন, যিনি তাঁর মৌনতাতেই মুখর করে তোলেন পারিপার্শ্বিক পরিবেশ। আর প্রকৃতিও এই মায়ের মতোই সহনশীল, মৌন... তাই নারীকে প্রকৃতির সাথে তুলনা করা হয়।
১৯২২ সাল থেকে আয়ারল্যান্ড পূর্ণমাত্রায় একটি Free Stateএর মর্যাদা পায়। ১৯৩৭ সালেই রচিত হয় সংশোধিত নতুন সংবিধান। আর এই সংবিধানেই মেয়েদের অধিকারের কথাও ঘোষিত হয়। সমাজে প্রতিষ্ঠা পেতে থাকে নারীর অবদান, Other হয়ে ওঠে Mother... আর আস্তে আস্তে কমতে থাকে Fatherএর প্রতিপত্তি। এখনও পর্যন্ত আয়ারল্যান্ড মাতৃতান্ত্রিক দেশ (যদিও নারী অর্থেই ‘মা’ নন)। ১৯২৭ সালে পাশ হয় এক নতুন আইন, যে আইন স্বীকৃতি দেয় অবিবাহিতা মায়েদের। bars
and restrictions have been lifted and it is no longer socially unacceptable to
have a child outside of marriage ... In a
country where Mothers quite definitely have a place, they
evidently do not have a position in the constitution... এই চিরাচরিত ধারণাটাই পাল্টাতে থাকে ক্রমে। আপাদমস্তক ক্যাথলিক খৃস্টান একটি দেশের (চার্চ, পাদ্রী এদের নিয়েই) এমন নজির কিন্তু বেশ নজর কাড়ে, কিন্তু প্রতিটি সিদ্ধান্তেরই একটি বিপ্রতীপ অপসিদ্ধান্ত থাকে, এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটে না। সমাজ ও সংবিধানে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অবিবাহিতা মায়েদেরও সমাজে মূল স্বীকৃতি দেওয়ায় গর্ভপাত বেআইনি বলে গণ্য হয়। ১৯৭০ সালে স্বল্প সংখ্যক কিছু আইরিশ রিপোর্টার এবং সোশ্যাল activistদের নিয়ে শুরু হয় Women's liberation movement, -- Mary Maher নামের এক Irish-American journalist ছিলেন এই মুভমেন্টের প্রথম দিকের পরিচালিকা।
১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় The National Women's Council. তাঁদের মূল উদ্দেশ্য অবশ্যই সমাজে নারীর অধিকার সুস্পষ্ট করা। তাঁদের মুকবন্ধ আমাদের জানায় -- “Our mission is to lead and to be
a catalyst for change in the achievement of equality between women and men.
We articulate the views and experiences of our members and make sure their
voices are heard wherever decisions are made which affect the lives of women.”-
আদ্যপান্ত ক্যাথলিক দেশে গর্ভপাত আইনী ভাবে অস্বীকৃত - আর তার প্রমাণ হিসেবে সাম্প্রতিক কালের সারা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা সবিতা হালাপান্নাভার-এর মৃত্যু। এ মৃত্যু আমাদের আরও একবার এক বিরাট প্রশ্নের সামনে এনে উপস্থিত করে। ২৮শে অক্টোবর ২০১২ ...আয়ারল্যান্ডের Galway
City Hospital-এ মৃত্যু হয় সবিতার। ১৭ সপ্তাহের গর্ভবতী সবিতা অপ্রতিরোধ্য ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়ে Galway City Hospital ভর্তি হন। সেই সময় Miscarriage হয় তাঁর। নিজেও ডাক্তার সবিতা ডাক্তারদের কাছে Abortionএর আর্জি জানান ২১শে অক্টোবর। তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয় এই ভিত্তিতে যে, ক্যাথলিক দেশে গর্ভপাত বেআইনি! সেপটিক শক, মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর এবং কার্ডিয়াক ফেলিয়োরে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় সবিতার। আইন কি মানুষের জীবনের চেয়েও দামী? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে তোলপাড় হয় গোটা আয়ারল্যান্ড। ১৪ই নভেম্বর আয়ারল্যান্ডের সর্বপ্রচারিত দৈনিক সংবাদপত্র The Irish Times ৭০০,০০০ কপি বিক্রী করে। সোশাল মিডিয়া জুড়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। অবস্থা হাতের বাইরে চলে যেতে দেখে United Nations Special
Rapporteur হস্তক্ষেপ করে। প্রধানমন্ত্রী Enda Kenny তাঁর বয়ানে জানান, “I don't think we should say anything about this
until we are in possession of all the facts.” ...Health Service Executive সাবারাত্নাম আরুল্কুমারান সাতজন ডাক্তার সহ একটি মেডিক্যাল প্যানেল তৈরি করে এই বিষয়টির তদন্ত শুরু করেন। তাঁর রিপোর্টে আরুল্কুমারান স্পষ্টতই জানান, সবিতার মৃত্যু হয় শরীরে অতিমাত্রায় ইনফেকশন ছড়িয়ে যাওয়ায়, এবং সঠিক মেডিকেল সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায়। আয়ারল্যান্ড, লন্ডন, জার্মানি দেশের Indian Embassyর সামনে শুরু হয় মিটিং। কর্পোরেট দুনিয়ার খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব Colm O Gorman জানান, “successive Irish Governments have
failed in their duty to provide necessary clarity on how this right is
protected and vindicated, leaving women in Ireland in a very vulnerable
position.”
সমস্ত জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটে ৩০শে জুলাই ২০১৩এ। রাষ্ট্রপতি Michael D Higgins
নতুন আইনে স্বাক্ষর করেন Protection Of Life Pregnancy Act 2013. চূড়ান্ত ক্যাথলিক দেশ আয়ারল্যান্ড তার আইন পাল্টাতে বাধ্য হয়। জীবন যে আইনের চেয়েও বেশি মূল্যবান, এই সহজ সত্যটা আরও একবার প্রমাণিত হয়।
আয়ারল্যান্ডের সমাজ বিষয়ক ইতিহাস ঘাঁটলে মেয়েদের অবস্থানগত বিবর্তন স্পষ্টতই চোখে পড়ে। খ্যাতনামা রিলেশনশিপ এক্সপার্ট Brendan Madden জানান, “Over
the past 50 years we’ve seen fundamental change in Irish society and Irish
family life, however one constant has remained – the desire for people to form
strong, sustaining relationships throughout their life.” আর এই সুষ্ঠু সম্পর্ক ও পরিবার প্রতিষ্ঠায় নারীর অবদান অনস্বীকার্য। মেয়েদের কোমল স্পর্শ ছাড়া যে কোনো পরিবারই অসম্পূর্ণ। Madden
এও জানান যে, বিগত ৫০ বছরের আইরিশ সমাজতত্ব ঘাঁটলে দেখা যাবে, মহিলারা এখন ঘরে আর বাইরে সমান রূপে স্বচ্ছন্দ। আর তাই শিক্ষাগত প্রতিষ্ঠান, অফিস এবং আরও অন্যান্য বিভাগেও মহিলাদের অবাধ বিচরণ। কাজের প্রতি নিষ্ঠা তাঁদের আলাদা করেছে পুরুষদের চেয়ে, আর এই আলাদা হওয়ার সুবাদেই তাঁরা ছিনিয়ে নিচ্ছেন পুরুষদের কাজ। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও পরিবর্তন হয়েছে আয়ারল্যান্ডের। ভালো ভাবে বাঁচতে গেলে এখন পরিবারের উভয়েরই উপার্জন প্রয়োজন, তাই স্বাভাবিক ভাবেই মেয়েদেরও এগিয়ে আসতে হচ্ছে। পরিবারের হাল ধরতে। The
result is that women often has to juggle their careers while still
handling the bulk of household duties.
সময় এগোচ্ছে, এগোচ্ছে সমাজ, আর তার সাথে সাথে পারিপার্শ্বিক পটভূমিও। traditional model Familyর সংখ্যা কমছে, তার জায়গা নিচ্ছে Single Parent Family. আশাতীতভাবে হ্রাস পাচ্ছে বিবাহের সংখ্যাও। ১৯৬০ সালের পর থেকে গড় বিবাহের
সংখ্যা বেশ নিম্নমুখী, আর তার কারণ হিসেবে এটাই বলা যায়, পুরুষের পরিচয়ে আর নিজেদের পরিচিত করতে চাইছেন না মেয়েরা। তাই বিবাহ নয়, Co Habiting, ...চিরকালীন Commitment নয়, বরং অস্থায়ী Commitment-এ বেশ স্বচ্ছন্দ আজকের আধুনিক আইরিশ নারী। you
might need me, but I don’t need you. পুরুষের নর্মসহচরী নয়, আজকের আইরিশ নারী পুরুষের কর্মসহচরী, আর তাই-
The perception of truth
is not dependent
nor is it failed to be logic without us.
A good informative article. I would love to have some analytical phrases from dear writer on social impact of this temporal commitment.
উত্তরমুছুনপড়লাম।অজানা তথ্যের সম্ভার আছে এইখানে।
উত্তরমুছুন