বিশ্বজিৎ বর্মন

খেউরগাঁথা ২

শেষবারের মতো গাছ দাঁড়ালাম
উড়ন্ত মানুষের হাত থেকে পাখি উড়লাম

ব্রিজের নিচে বইছে জল
তুমি পাতা ও পালক সামলাচ্ছ

লাউঞ্জবার থমকে রইলো
তুমি ব্যাকরণ জানো না

বুঝতে পারছো গান হ'য়ে এইমাত্র
জড়িয়ে গেলে

সাপ

ঝাঁপি থেকে বেরোলো করোটি ও কংকাল

আর আমি

শুয়ে থাকার কোনো জাত নেই
যেমন সরীসৃপ যেমন ঢেউ

নগ্নতা তোমাকে নাভিদেশ দিয়েছে

নাভি ছুঁয়ে দেখো তোমার নাম তিস্তা হ'য়ে যাচ্ছে
কাচ থেকে আমি গড়িয়ে যাচ্ছি নাভিতিস্তার দিকে

পায়রাঘুম

বাষ্প থেকে পাখি নেমে আসছে
জলের ওপর দখল নিচ্ছে ভারী স্তন

মুখ মেলতেই যাবতীয় পায়রা
খুঁটে খাচ্ছে প্রত্নতাত্ত্বিক ভোর

বাষ্প ছড়িয়ে দিচ্ছি দিনের আলোয়
পায়রাঘুম থেকে নিজেকে ছড়িয়ে দি

তুতেনখামেন

ঢেউ খেলছি, তুমি মাটিমাটি দাগ

জন্মের ভেতর মোম জ্বালো
পাখি উড়ে উড়ে কাহিনীর ধারে

ঘোড়ার স্বপ্ন দেখায়
গভীরতা জানো ব'লেই ঢেউ খেলছি

বেলুনে ধ'রে রাখছো তুতেনখামেন
ভেসে আসা জলে মেলাও ঢেউ

ফরেব

শস্যভূমি থেকে তুলছি সালোয়ার কামিজ
তীব্র গন্ধে সাবলীল পাখা মেলছে দু'টো পায়রা

আনাজ নেই সোনামণি অভিমান নেই
গন্ধে ছেয়ে ফেলছে করোটিকংকাল

আমাকেই রেঁধে ফরেব ক'রে দাও