ঝুরোকবিতা সিরিজ
(১৯)
রঙিলা রে তোর সঙ্গে আজ
আমার রঙের বাজি
ফুলকাটা ফলকাটা নখকাটা
মাথাকাটা
কুমির তোর জলে নেমেছি
রণিতার কথা কেউ কি
ভেবেছে কোনোদিন মুন্সীপাড়ায়
এখন তাহলে কয়েকটা দিন
যাক টালমাটাল
রয়ে সয়ে বাছাধন রয়ে সয়ে
কাচের ঘর বেলোয়ারি ঝাড়
ব্র্যান্ডেড গাধা
তামাসা হচ্ছে নাকি
তামাশা ফাজলামি বাটপাড়ি
তোর্সা নামের মেয়েটা
কাঁপা হাতে খুলেছিল নীল আঙরাখা
(২০)
দুই ভাই গাঁজা খাই
হেলেঞ্চা শাক
লটের বহর দেখ আহা লটপট
লটপট
বউ চুরি কার হলো এই
গোধূলি বেলায়
ওহো কচি বুকে জমেছে কত
দই মাভৈ মাভৈ
একটা তাস উল্টে গেলেই
হলো এ কেমন নৌকাডুবি
মদন মদন তোর প্রেমে
হাবুডুবু খায় স্বজন
মাছের আড়ত থেকে কখন
হারালো টাটকা তাজা কই
(২১)
সোনার দাম পড়েছে এ বছর
পুজোয় নির্ঘাত বিছেহার
তোমরা কেউ আমাকে দিতে
পারো একটা বিদ্যাসাগর চটি
সোলেনামা সোলেনামা এই না
হলে বাহারি ছাতা
একটা বাড়ি একটা গাড়ি
কিছুটা দাড়ি
মনোতোষ বলেছিল এবার সে
যাবেই গঙ্গাসাগর
লজ্জাবতী লতা আমার দাঁত
কেলানোয় এত লাজ
অনেক তো হলো ভূরিভোজ কিন্তু
নেপো গেল কই
(২২)
জল বিয়োগের সময় আমি জপ
করি ইষ্টনাম
মারি তো গন্ডার না হলে
বনবিড়ালও কিছু কম নয়
গোত্তা মারা যাহাদের স্বভাব
তাহারা গোত্তা মারিবেই মারিবে
তুমি বরং বলো তোমার
মহাপ্রস্থানের কথা
হাজরার মোড়ে প্যান্ট
খুলে পথ অবরোধের কথা
বুঝলে লতিকা যতটা চলা
যায় পাশাপাশি তাসাতাসি
তাসাপার্টি এলো কোথা
থেকে এই অবেলায়
আহাম্মক কোথাকার
(২৩)
রঞ্জু তোর কথা ভাবলেই
আমি রঞ্জু হয়ে যাই
সামনে নদী খরকাই
চান্ডিলের বাস ছমছম ঝমঝম
কয়েকটা বাসকপাতা তিনটে
সাদা মার্বেল চারটে হাঁস
খুশিতে দিন চলে যায়
ভাইরে ভাই রাত চলে না
পেছন থেকে পাকাধানে মই
দিলি কখন
হাসির কথা উঠল হাসাহাসির
কথা
মারব এক রদ্দা তোর ভরাট
পাছায়
কেন গেলে পরবাসে বঁধুয়া
আমার
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন