সুসাইডাল
মস্তিষ্কে ঘটে চলেছে
একের পর এক ব্লাস্ট
সুইসাইডাল ক্যাম্পের আলো
তখনও নেভেনি।
কাঁটাতারের বেড়ার পাশে
শুয়ে একটা ঘেয়ো কুকুর
উপবাসী গন্ধ লেগে থাকা
চোখে তাকিয়ে মেপে নিচ্ছে
খিদের পরিমাণ।
রক্তের জিভে ঘুণপোকাদের
উল্লাস
নিংড়ে দিচ্ছে কার্বন ডাই
অক্সাইড।
অসহিষ্ণু উদযাপনে আদিম
রিপুর
বেপরোয়া যত বৈধ প্রতিষ্ঠান।
জঙ্গলে তখনও দাবানল জ্বলে ওঠেনি
স্বাধীনতার তাগিদে।
হারানো মানুষের সূচিপত্র
হারিয়ে যাওয়া মানুষের ওপর আমার অদ্ভূত টান!
অথচ হারাবার মুহূর্ত অব্দি
আমার কী যে চরম নির্লিপ্তি!
ক্লাস ফোরে দিদা হঠাৎ
হারিয়ে গেল। তার
চরম অসুখে কোনোদিন তার ঘরে পা রাখিনি
ঘেন্না করত পায়খানার গন্ধে। দিদার মাথার
তেলের গন্ধটা কিন্তু আজও
পাই।
রিনিতা আমার বারো ক্লাসের
বন্ধু
একদিন হঠাৎ হারিয়ে গেল।
বহু বছর পর কাকুর সাথে দেখা।
রিনিতা কই কাকু?
আমাকে চিনতে পারছো?
দুটো মানুষ সেদিন নতুন
করে হারালো।
রিনিতার রুমাল আমার
স্মৃতিবাক্সে থাকে এখন।
অংশুকে দেখি কলেজের
প্রথম দিন। বন্ধু বা কিছু
বেশি।
বাসের নিচে থেমে গেছিল
গতি। দুমড়ে মুচড়ে রক্তবমি
মাখা শরীর।
এভাবে ভরে ওঠে আমার
হারানো মানুষের ডায়েরির
পাতা।
সূচিপত্র সাজানো ক্রমিক সংখ্যায়
এক। দুই। তিন। আরো। আরো।
অথচ হারাবার মুহূর্ত অব্দি
আমার কী যে চরম নির্লিপ্তি!
নিখোঁজ হওয়ার ক্যাপসন্
নিরুদ্দেশে বেঁচে আছে
দুটো চোখ।
আড়ালে আন্দোলন চলছে
ক্ষিদের।
সন্ত্রাস বন্দী আইহোলে
রক্তের সেলফি।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন