কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

পৃথা রায় চৌধুরী

শেষকৃত্য  

বুকের কাছে বন্দুক রেখে দেখেছিলে
হাড় হিম মশাল জ্বলে থাকে পাতাল তারায়।

সাথে থাকার মাপকাঠি
যন্ত্রণার কোলে সুখনিদ্রা।

নিরুপায় খাঁখাঁ প্ল্যাটফর্মের নাম তুমি;
একচ্ছত্র মালিকানা দিয়েছ,
বিনিময়...
শেষযাত্রায় দিয়ে যাব শামুকের দৃষ্টি।

জাদুঘরের সিঁড়ি ধরে নামার কালে
বাচ্চা ছেলের মুঠোয় পুরুষ হেসেছিল,
কিছুটা ছেলেবেলা তোমায় দিলাম।

এখন কঙ্কাল জড়ো করি,
হাতভরে চকমকির গুঁড়ো মেখে বুঝে ফেলি
দানা দানা আগুন জন্মে গ্রাস করবে
স্মৃতি নামের সপ্তম ঋতু।



জিয়নকাঠির মৃত্যু

একই দেওয়ালের দুটো পিঠ আলাদা করে, ভেবেছ মিটিয়ে দিলে কথার পাহাড়
মেটে দিকে জলের ঝাপটায় গলে গেছে হাড় পাঁজরাও
ভেতরের নরম আলোয় ডিজিটাল টাইলস বসানো পিঠে
আলতো হাত রেখে ভেবেছ, সমস্ত প্রাণ এখনো ধুকপুক করছে
ওই সর্বংসহা কাঠামোয়... কেন ভাবলে এমন বলো তো?

চোখের তলায় যেই ঢেউগুলো জাঁকিয়ে বসেছিল,
হেসে কেঁদে এখন ঠিকানা পালটে পাগলাগারদে। উঁহু, পাগল না, পাগল না
হৃদরোগী মনোরোগীর মাঝামাঝি নাম ভাব তো দেখি...
অবশ্য ভেবে না পেলেও দিকচক্রবালকে কেউ চিনে নিতে ভুল করে না;
সুতরাং, তুমি পাশ, পাশ, কেবল পাশ।

বন্ধ দরজার এপারে ঢোকার জন্য ঝড়ের আকুল হুতাশ
রাত্রি দিন নির্বিশেষে বিষ ঢেলেছে হঠাৎ শূন্য হাতে
প্রার্থিত বন্যায় তোমার দুঃখঝুলি ভাসিয়ে দিয়েছ...
এখন পাড় ভাঙ্গার গান কানে নিয়ে দেখো, শববাহী কাচের ঘেরাটোপে
সাইরেন বাজিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে সুন্দর ধ্বংসাবশেষ।

গ্যালারির প্রথম সারিতে বসে
বিষণ্ণতায় মোড়া আসন্ন শরৎ দেখে ঠিক বুঝে নেবে,
তোমায় সঞ্জীবনী দিয়েছিলাম।



সাবধানের মার

মস্ত জালের এপারে ওপারে সাড়ে তিন ধাপ
সাত অঙ্ক শূন্যে মেলেনা চৌখোপ অভ্যাসে
তবু, কেন তোর, তোর কেন?
প্রশ্নপত্রের ক্ষুন্নিবৃত্তি বদমায়েশির খরায়
গুলিয়ে ফেলার ধৈর্যবেলার অস্থির অভিশাপ।

চারপাশে নেই দেওয়ালের গজিয়ে ওঠা কুলোকান,
চোরাচোখে দূরবীন শোনে
কো
নো হায়াপর্দার আহ্বান ছিঁড়ে  
প্রসাধনে মত্ত একটুকরো ঘুলঘুলি লিখে দেয়,
রাজি আছিস, বিম্ববতী, অপেক্ষায় যুযুধান!

পাঁকের মুখে ফুলচন্দন
ঋষভ অসহায়,
বয়ে চলে যাবজ্জীবন
নিয়ম অছিলায়।



0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন