কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ৩০ মে, ২০১৪

১৮) নন্দিতা ভট্টাচার্য

অগস্ত্য যাত্রা

কখনও কখনও পৃথিবী এমনিই জেগে ওঠে
ভূমিকম্পে সব তছনছ। গাছের পাতা থেকে মাটির শব্দ।
চেনা পৃথিবীর পিঠে কুঁজ। মুখে আঁকিবুকি।
পিঁপড়ের পা হেঁটে যায় ধুলো মেখে।
চেনা ঝরাপাতা হেঁটে অচেনা। হৃৎপিণ্ড ফালা ফালা।
হাঁ মুখে লেগে কার লালা। ভূমিকম্পের কত ফাটল।
অবাধ মুখোশের সারি। মুখোশের চোখগুলো পিট পিট পিচুটি।
অর্গল খুলেছে বুক। গহ্বর।
উৎসারিত নতুন চেহারার প্রাচীন গল্প।
ঘটনার আচ্ছন্নতায় গলায় কাঁটা।
কাঁটাবনে ফ্রিদার চোখের পাতা। মাটির ভাঙ্গা মুখে হাজার তীর।
আর কখনও জোড়া যাবে না তাকে। তীরের ওপর পায়ের পাতা আমূল।
সে জানে এ তার অগস্ত্য যাত্রা...


সত্যি মুখ

ভুমধ্যসাগর থেকে মাঝে মাঝেই এক ঘাড়ে কেশর
তাগড়া চোখ সম্মোহন, ঘরবার উঠোন ছিনতাই
তার অপূর্ব গ্রীবা চকচকে কেশর কালো ঘন চোখের মায়ায়
দিক ভুলেছিল হাজার লক্ষ উদ্ভ্রান্ত দিশাহীন দ্রাবিড় মাস্তুল

আস্তে আস্তে চকচকে কালো রঙ অন্ধ অন্ধকার নীল
কালো মসৃণ চোখে কাজল উধাও, সুরমা আঁকে করাতের খাঁজ

পিঠে কালশিটে দাগ, হাত বুলিয়েছিল সাগরের বেয়াড়া বাতাস
চকচকে শরীরে নেই কোনো চন্দ্রালোকিত বালু
আঙুলে বন্ধ্যালিপি, মরচে রঙ মাস্তুলে বসবে না আর কোনো নীলকণ্ঠ পাখি
আমি দূরে দাঁড়িয়ে দেখি আমার উথাল পাথাল বসতবাটি, প্রতারিত স্বজন।


নাও ভাসান

এবার আমি ঈশ্বরী পাটনির নাও
খরিদ ভাসিয়া বেড়াইব, ঘাটে ডিঙ্গা
পান চিবাইব, ইচ্ছামত যাত্রী তুলে
যেথা যাইতে চাইবে নামাইয়া দিব
তারা জিগাইবে - ‘কি গো ভাড়া কত দিব’
আমি বা’হাত নাচাইব, নথ ঝাপট
বলিব, কেবল ভালোবাসা রাইখ্য গো
আমার নৌকা ছাইড়া অন্য নৌকায় পা
রাইখ্য না, এ নৌকা বর দিবে জব্বর
সোনার বৈঠা, রূপার ছই, হীরা মন।

তবুও আমার কথায় তুড়ি মারিলে
সপ্তডিঙ্গা ময়ূরপঙ্খী নাও উড়ান
মন গাথিব না, ঘাটে ঘাটে আলুথালু
তুলিব নামাইব তুলিব নামাইব
তুলিব নামাইব তুলিব নামাইব
উথাল পাথাল ঢেউয়ে ঈশান কোণ
আমার যেমন বেণী তেমনি রহিবে
চুলে জল ঢালিব না, সত্য সত্য সত্য।


দাদের মলম

ব্যাঙের ছাতার মতো আগুন ঢেলে
সাবালক হয়েছিল ছেলে
ভাঁড়ারে জমা রসদ, দাদ খাউজানি
ওঠে মাঝে মাঝে,

দেশে দেশে চকির তলায় কোন
জুজুভূত, চলে খোঁজ অদ্ভুত--

এক’শ টাকার পেঁয়াজ
ধান শোধ...

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন