কবিতার কালিমাটি ১৩৪ |
দুঃখ উদিত হাওয়া
আমি তপ্ত কোনো রাষ্ট্রে গিয়ে দেখি
জন্তুগুলো পর্ণমুখি
মানুষগুলো তীব্রসংহারক
জলবৃষ্টিঘর্মবিহীন মানুষ কিছু জন্মউপাদেয়
তাদের এখন খুঁজছে শ্বাপদ
রক্ত সহনীয়
আমি রিক্ত কোনো গুহাগৃহে
কিসের আশায় অন্ধকারে থাকি
রৌদ্র এসে বিষ দিয়েছে ইঁদুরগর্ভে নাকি?
প্রায়বৃদ্ধ শকুন আসছে, শুষ্ক মুখে হাড়
আমার এখন জন্ম হয় না
বন্ধ্যা ইচ্ছাকার।
শব্দপ্রিয় দর্শন
তুমি শ্মশানচারীর শেষ শব্দ ভেবে
ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়েছো
ধাতুর যুগের আগে
এবং আর্দ্র রজনী পেরিয়ে
মেঘলা মানুষ নিয়েছো বৃথাই
দূর সমুদ্রের কাছে
দৃশ্য দেখে মূক হলো
পঙ্গু প্রাচীন পুরুষ
মৃতদেহে এবং হলো মূর্খ শিহরণ
জলের নিকট হাঁটে কারা
রাত্রে বিচরণ
কার জন্য বৃষ্টি কাঁদে
সুরাসূর্য উঠে
অরণ্য ও পাহাড় ছুঁয়ে
মৃত্যু আসে শেষে।
সভ্যশবের রোজনামচা
চন্দ্রপোড়া জোৎস্না আসে
আগুনে মড়ার ছাই
অন্ধকারে আততায়ী
রক্তগন্ধ পাই
বর্ষা হলো শুষ্কপ্রায়
মগজে কালের ধূলি
শূন্যগোরে দৈব খেলে
রিক্ত হাতে খুলি
জল ছুঁইনি, ছুঁয়েছি ঘাম
অন্ধকারে শব
ধূর্তধূম্র হাওয়ায় দেখি
খর্ব অবয়ব
প্রতিশ্রুত অন্ধ আসে
মেদমজ্জালোভি
দুইহাতে দুই লোহার খাঁচায়
বিপন্ন ঈশ্বরী
খুব সকালে শখের বশে
নিজের জনন কেটে
মাতালপ্রায়ে দেখছি শুঁকে
জন্ম হলো কিসে
রপ্ত হলো রতিক্রিয়া
কর্মে, মনে গ্লানি
রাজদুয়ারে বিবস্ত্র সব
নষ্টভ্রষ্টকামী
আমিও দোসর যমের যেমন
মরতে অরুচি
মধ্যরাতে জন্ম নেবে
শ্বাপদ প্রেতিনী।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন