প্রতিবেশী সাহিত্য
লিওনার্ড কোহেন-এর কবিতা
(অনুবাদ : বাণী চক্রবর্তী)
কবি পরিচিতি : লিওনার্ড কোহেনের জন্ম ১৯৩৪
সালে এবং মৃত্যু ২০১৬ সালে। কানাডার ইংরেজি অধ্যুষিত মন্ট্রিয়লে জন্মগ্রহণ করেন, যদিও
তিনি ছিলেন জিউইস বংশোদ্ভূত। কানাডার একজন বিশিষ্ট কবি ও জনপ্রিয় সঙ্গীতকার। তাঁর কবিতায়
ধর্ম, রাজনীতি, নি:সঙ্গতা ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রাধান্য পেয়েছে। তিনি কানাডার সর্বোচ্চ
নাগরিক সম্মান ও অষ্ট্রিয়ার সেরা সাহিত্য সম্মান পেয়েছেন।
The only poem (আমার একমাত্র কবিতা)
এটাই একমাত্র কবিতা
যা আমি পড়তে পারি!
আমিই একমাত্র এমন লিখতেও পারি।
সমস্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও
নিজেকে শেষ করে দিইনি!
মাদকাসক্ত হইনি… নিজেকে শিক্ষাও দিইনি।
ঘুমোতে চেয়েছি… কিন্তু যখন ঘুমোতে পারিনি
লিখতে শিখেছি… লিখতে শিখেছি!
যেটা এমনই কোনো রাতে
আমারই মতো হয়তো কেউ পড়বে!
My poetic life (কাব্যিক ব্যতিক্রম)
এক বৃদ্ধা আমাদের আস্রয় দিয়েছিল
লুকিয়ে রেখেছিল সর্বোচ্চতলের ঘরে।
তারপর সৈনিকেরা এসেছিল…
অন্তিম নিঃশ্বাস নিতে নিতেও
কোনো অস্ফুট স্বর বা মৃদু স্বগতোক্তি
বৃদ্ধার কন্ঠে ধ্বনিত হয়নি!
সেদিন সকালে আমরা তিনজন ছিলাম
সন্ধ্যায় আমি একা!
কিন্তু আমাকে যেতে হবে…
সীমান্ত আমার জেলখানা!
ওহ বাতাস! বাতাস বয়ে চলেছে…
কবরের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে!
শীঘ্রই স্বাধীনতা আসবে, তখন আমরা
ছায়া থেকে বেরিয়ে আসবো!
(আমি মৃতপ্রায়)
আমি এখন মৃতপ্রায়…
জানি তুমি আমার জন্য চলে যাওনি
এবং পৃথিবী এখনো তোমাকে ভালবাসে!
এটা লিখছি কারণ… জানা আছে,
যে গান তোমাকে ছুঁয়েছে
অজস্র চুম্বনে তাকে ভরিয়ে রাখ!
তোমার জীবনের উদ্দেশ্য হতে চাই না
বরং ভাবনায় বুঁদ হয়ে…
তোমাকে জড়িয়ে থাকতে চাই!
যেমন করে তুমি ঘুমোতে ঘুমোতেও
‘নিউইয়র্ক সিটি’ শুনতে!
Dance me to the end of love (নাচতে দিও শেষ পর্যন্ত)
আমাকে নাচতে দিও…
আগুন ঝরা ভায়োলিন হাতে নিয়ে
তোমার সৌন্দর্যের সাথে!
নাচতে দিও দুশ্চিন্তার মধ্যেও
যে পর্যন্ত না আমি সুরক্ষিত থাকি,
অলিভের শাখার মতো
আমাকে উঠিয়ে নিও… এবং
আমার একান্ত পায়রা হয়ে থেকো,
নাচতে দিও শেষ পর্যন্ত… ভালবাসায়!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন