কবিতার কালিমাটি ১২৪ |
জানি সব, বুঝি না
ঘা শুকানোর
মত জল শুকিয়ে আসে টেবিলটপের কাঁচে
চিন্তাসূত্র
ছিঁড়ে ছিঁড়ে যায়, মন নীরব হয়ে আসে শুধু কাঁকড়ার মত জেগে থাকে
উচাটন…
ওই বিকেলজন্মের
গাছ
ওই লালবট
সব জানে আমার
কখন তুমি আসবে
থরথর রোমাঞ্চ নিয়ে
আহা স্রোত,
তোমার ডাকের ওপারে
তরঙ্গ তার ফুসলিয়ে
নিয়ে যাবার দোষটুকু ফেলে গেছে জলে
জানি সব, বুঝি
না শুধু নিজেকে
তার চেয়ে বেশি
তোমাকে!
সন্ধি
ধ্রুপদী আকাশ
থেকে ছিটকে যায় বিদ্যুৎ তরঙ্গ,
এক পশলা বৃষ্টি
এলে
জানলা খুলে গৃহস্থালির উপর বইয়ে
দিলে
নিশ্চিত হালকা
হয় মেদহীন দেওয়ালের শরীর, মেঝের বুক।
বৃষ্টিচূর্ণ
লেগে লেগে বাদামখোসার মত মিইয়ে আসে
মাথার ডৌল,
তছনছ এলোচুলের সংসার।
বিবর্ণ আঙুলে
আংটির মত
সন্ধিতে জড়াতে
চায় শুধু...
সময়টা বিকেল
সময়টা বিকেল
জড়িয়ে
আর
ঘূণ ছোঁয়ার
মত কড়কড়ে ভালোলাগা
ভেসে ওঠে চক্চকে
চোখের আদিম মুগ্ধতা
দৃষ্টি যেদিকেই
যাবে পালাবে হরিণ
আর বিবিধ রঙের
কুন্ঠা
অনায়াস যেদিকে,
দিগন্ত ও পাহাড় সমুদ্র ছুঁয়ে
দ্বীপান্তর
পাখিও চলে যায় নজরমিনার ঘেঁষে...
সবই চলে যায়
অতীতে
বর্তমান ন্যাড়া
পড়ে থাকে বেলতলায়।
খুব ভালো লাগলো। আপনার লেখা আমাকে ভাবায়। খুব ইচ্ছা আপনার সাথে আলাপ করার। কন্টাক্ট নম্বর যদি দেন কথা বলতে পারি। আমার বয়স 67 , কাজেই বেশী ঘোরাঘুরি করতে পারিনা। ভালো থাকবেন।
উত্তরমুছুন