কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২

বিদিশা সরকার

 

কবিতার কালিমাটি ১২৪


পারদ কাহন

 

আধাআধি করে সুখটুকু শুধু যমুনার ছলে বাঁশিটি নিপুণ  

আমাদের বাঁচা আমাদের মানে দ্বিগুণ ত্রিগুণ আর লঘু ধুন

তবুও তো ফেরা নজিরবিহীন পান্থনিবাসে শরাব দিনার

মোহরের চোখে একঝিল কথা কারা নিয়ে গেল কেতাবি চিনার

 

আমাদের বাঁচা আমাদের মানে দ্বিগুণ ত্রিগুণ আর লঘু ধুন

জামদানি নীলে তারাদের কথা কারা লিখেছিল বিষয় তা নয়

এরমাঝে এলো একঝাঁক টিয়া সবুজের কথা ভুলে গেছি প্রায়

'আশাবরী তুমি' তুমিই বলেছ প্রণয়ের আগে টিপ টিপসই

 

জামদানি নীলে তারাদের কথা কারা লিখেছিল বিষয় তা নয়

ঘনদিয়া রাতে বিসমিল্লার মাঝ্‌ খাম্বাজে কত জড়িবুটি

ঘোরজ্বরে কার জলপটি আর থার্মোমিটারে পারদ কাহন

মুসাফির হাসে এই পরবাসে যতি কমা ছেদ জুবিন বুটিক

 

ঘনদিয়া রাতে বিসমিল্লার মাঝ্‌ খাম্বাজ কত জড়িবুটি

খলে পিষে মারে তবুও বাঁচার আদেখলাপনা স্মৃতি সমাচার

খোলাচুলে ছুঁয়ে শপথের আগে জয়দেবে মজে গীত গোবিন্দ

ছুঁয়ে বসে দেখি নমাজে বসেছ মুজরায় ছিল পিয়া বিনা সাকী --

 

দাগগুলো

 

জমিজমার স্বপ্ন মুছে গেলে বসন উড়িয়ে দিয়েছি পারানি বাবদ। এপার ওপারের খরচ উশুল করেও দিবাস্বপ্নের কী বিপুল আয়োজন। দু'পা এগোই তো তিন পা পিছনে। এ যে দেবনাগরীর চাল। খই ফুটছে বকুল বনে। চার রসিক দেখাতে পারো যাবো তোমার সঙ্গ।

অন্ধকারে হাসির শব্দ শোনা যায় না কিন্তু তারা গোনা যায়। নয়নতারা সুর্মা মুছে বেশ ফুটে রয়েছে জোছন জোছন। কত কি হারিয়ে গেল বেসামাল কুন্দন জড়োয়া। এখন এই পাঁয়জোর নিয়েই যত ফন্দি ফিকির। এ পাড়া ও পাড়া থেকে কত ভেট কত নজরানা। অথচ সেই কাজলদানীটা আত্মকথা লিখে সেই কোথায় লুকিয়ে! খুব ভোরে ভোর এলে ঘরে চৈতন্য নগরে এক বহুশ্রুত উপাখ্যান ধীরে ধীরে ডুবে যায়

যেমন ডাহুক দূর তারও বেশি -- দাগগুলো স্পষ্ট লাগে বড়!

 

অবচেতনের তাগিদ থেকেই

 

যেন পরবাসে। জনশূন্য দ্বীপান্তরে। এখানে আবর্জনার গন্ধে অভয়ারণ্যের জলকেলির শব্দগুলো মোবাইলে আপলোড করা। সেই শুনে শুনে দুপুর গড়াল। ঘরগুলোতে জানলা থাকলেও শার্সি নেই। তাহলে গরাদ ভাঙ্গার গান গায় কেন? কেন তোমাকে ভুলে যেতে হয়? ওরা বোঝে কী করে, দু একটা গ্লাস ভাঙলে তোমাকেই মনে করা বুঝি? অধিবাসের তত্ত্ব দেখতে ডেকেছিলে। অপারগ গিয়েছিলাম নাকছাবি খুলে। সেখানেই যে জমা হয় চোখের জলের অপলাপ। ফিরে এসে সব জানলা বন্ধ করেও সানাইয়ের একেক চাবুকে খোলা ছাদে ঝুঁকে দেখি হাই ভোল্টজ তার, কোজাগরী আলো! সময় ফুরিয়ে আসে কাউন্ট ডাউন শুরু। সব শব্দ অভিসন্ধি, সব কথা অভিসম্পাত। "পিয়া তোরা ক্যায়সা অভিমান"? কেউ বলেছিল নাকি, কেউই বলেনি। বলেনি আবীরা তোর সব আছে, দেহগন্ধ, উগ্র তেজারতি। এক মহাশূন্যে ভাসমান অজস্র চিঠিরা, বদনাম। আভোগী বিলাপ। সমাজ ঘুমিয়ে পড়ে অন্ধকার ছায়াঘন তামাদি তিতীক্ষা। আমার নিচোলে তার গিঁটগুলো খুলে দিচ্ছে কে যে! ক্রমশ আলগা হচ্ছে বিলাসখানির জোয়ারি। ওখানে মোচ্ছব, তার শব্দ কেন এখানেও -- আকাশের দরজা জানলা নেই? রেলিংএ দাঁড়িয়ে আমি ঝাঁপ দেব। এগিও না কেউ। পঞ্চায়েতে নির্ধারিত  হোক আয়ান স্বপক্ষে কিছু আদিরস আর আমার সৎকারে আমি ভান্ডারা লাগাবো প্রিয় অধিবাস তুমিও শনাক্ত এই মৃত্যুর কারণে।

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন