কবিতার কালিমাটি ১০৯ |
ধূসরাঞ্চল
তৃষা হরিয়ে
কেউ কিছু দেয়নি কখনো
দুপুর হলে আঙুলের
চাপে প্রবেশ করব এক জীবন্ত গল্পের দেশে
সেখানে প্রেমিকের
স্বর গভীর আর গভীরতর বিরহ বিধুর গান
অবিন্যস্ত চুলের ওপর আশ্বাসের মায়া লাগা হাত
নিধুবাবুর টপ্পার
মতো একলা ব্যথাটি
এসব ছেড়ে কোথায়
ফিরতে হয় সন্ধের মুখে?
ঝিঁঝিঁ আর ব্যাঙের
আবহে
প্রাণ ভরিয়ে
রাত ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে যা করে চলে তাকেই বোধহয় কান্না বলে।
ক্ল্যাপস্টিক
চুম্বন না কি
চুম্বনের স্মৃতি এ নিয়ে
তর্করত রাত্রির
কুসুম বাগান
আমি অসহায়-
নিখুঁত সৌষ্ঠব
আর ঠোঁটের ওপর লেগে থাকা গভীর বেদনা,
হিমযুগ থেকে
অগ্নিযুগের এই প্রান্তিক ঘর, অজস্র স্মারক, উন্মুখ বীজ ও মিথুন মূর্তির পবিত্র নগ্নতা
আমি নিরুপায়
-
এসব টুকরো দৃশ্যে
অভিনয় করেছি কি না মনেই পড়ে না।
হাতছানি
এখন দুপুর হলে
সুখের মধ্যে ঢুকে যাই
দস্তানার প্রতিরক্ষা,
মুখোশের রহস্য খুলে রেখে ঝাঁপ দিই প্রেমের সংলাপে
শাহেরজাদের
উপাদেয় কথন বাসর যতটা নেশা ছড়িয়েছে
তার চেয়েও ভারী
এসব
প্রস্থানে অনিচ্ছুক
হৃদি দীর্ঘ আঁখি পল্লব ছুঁয়ে থাকি
আমি তীক্ষ্ণমুখ
প্রণয়ের চরম ব্যাকুল শব্দ ছড়াই
রহস্য ঘূর্ণিতে
ছুঁড়ে দিই বরফ যাপন
মরুদ্যান হয়ে
প্রস্তুত থাকি বালি প্রদেশে
কম্পাস হারানো
কোনো দিবানার
নোনা স্বরের
ভরসার কাঁধ হব বলে।
দারুণ লেখা
উত্তরমুছুনধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা সুকান্ত।
উত্তরমুছুনঅসাধারণ লেখা
উত্তরমুছুনমন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা, তিনটে কবিতাই অসাধারণ।
উত্তরমুছুন