কবিতার কালিমাটি ১০৯ |
কবেকার গান ভেসে আসে
জোছনা লেগে
আছে গোড়ালিতে এখনও
সাপের শরীরের
মত ঠান্ডা বিগত মুহূর্তরা
লেগে আছে, না
মুছেই উঠি বিছানায়, হাঁটু মুড়ে
ঘুমের কাছে
বসি অবিশ্বাসী প্রেমিকের কাছে যেভাবে
নতজানু হয়েছি
বহুবার, বহু জন্মের পাথরে লিখেছি গান
পূর্ণমাসী বিষের
উপাখ্যান।
নিরুপায়
নীলমণি লতার
মত সন্ধ্যা ধুলো পায়ে বাইছিল গা ফিরতি পথে, বাহুডোরে থোকা থোকা ফুল তখনও আদরের চেয়ে ঘন নীলে ফুটে ছিল
যেন
কয়েক জন্ম থাকবে
এভাবেই আর
ঘসা কাঁচে তারারা
থিতিয়ে এলে একদিন ঘুম পাবে, ঘুমোবে
জলের ওপর মাথা
রেখে,
নরম হাঁসের
মত জলে ডুবে যাবে
নিরুপায় ভালোবেসে
শুধু।
আউশ আউশ ঘুম
তিরতিরে চাঁদ
আঁজলা ভরা রাতে,
বেহুঁশ ঘাটে
মাছের মত মেঘ, তুমি
হারিয়ে যাওয়ার
ডিঙি আঁকবে বলে
হারিয়ে ফেললে
গর্ভবতী নদী,
খোয়া গেল মোহন
বাঁশির মোহে রাধার নামে
যেটুক ছিল আলো
তবু
ফিরিয়ে দেব
নদী তোমার ঘরে ফিরিয়ে দেব ইলশেগুঁড়ি সুখ
ফিরিয়ে দেব
আউশ আউশ ঘুম আর ক্ষমার পাতায় সন্ধ্যামণি ফুল।
স্বপ্নজা
তোমার ঘুমের
পাশে বসে আছি যুগান্তরেও
শাপলা জলে কাঁপছে
মধু মন,
ভোরের মত নরম
ঘাটের ধাপে
অসুখ ধুয়ে আঁজলা
ভরে তুলতে চাইছি টুকরো কুচি রোদ,
গর্ভবতী মাছের
মত যে রোদ ছিল সন্ততি সুখ, থাকবে
স্বপ্নজা।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন