কবিতার কালিমাটি ১০৯ |
দ্বীপ
প্রতিবার একার
ভিতরে একটা আশ্চর্য নদীর জন্ম হয়
যার চারপাশ ঘিরে জেগে থাকে অসংখ্য বিছিন্ন দ্বীপ,
সবুজ আর সবুজ। সুর ভেসে আসে
প্রাচীন শিকড়ের আশ্রয় থেকে!
আমি হাত পাতি। আশ্রিতা করে দিই নিজেকে
প্রতিটি প্রজন্মের আলোর কাছে
অথচ, নদী জুড়ে শুধু খরা,
ঢেউ নেই, স্রোতহীন পৃথিবীর গল্প যেন
কারা লিখে গিয়েছে সাদা পেন্সিল দিয়ে;
প্রতিবার একার ভিতরে একটা
আশ্চর্য আষাঢ় নামে।
পরিযায়ীরা ফিরে আসে শীতে আবার এপথে,
অথচ ভরা মাঘেই নদী ভরে উঠে আবার স্রোতে।
প্রতিদিন
আমাদের প্রতিটি
কবিতার মাঝে রান্নার সুগন্ধি ওঠে। ধোঁয়া হয়ে পুড়ে যায় দুর্বিষহ শব্দের অক্ষর
জীবনকে কি কবিতা বলা যায়
এভাবে কখনো?
চাল-ডাল-নুন-তেলের আগুনে মিশে
জল ঢুকে পড়ে কবিতার পাতায়...
ভাত বেড়ে বসে থাকা দিন একদিকে,
অন্য দিকে টেবিল ল্যাম্পের নিচে
ছেঁড়া পাতা আর শব্দের কাটাকুটি খেলা।
আমাদের প্রতিটি কবিতার মাঝে
দীর্ঘ উপন্যাস লেখা হয়,
ছোটগল্প বলার আছিলায়।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন