কবিতার কালিমাটি ১০৬ |
নক্ষত্র হয়ে জ্বলে
আমি প্রুশিয়ান
নীলাকাশের কাছে নতজানু হই।
কৃষ্ণসার হরিণী
মেঘ কোত্থেকে এসে আকাশের বালুচরীতে খসখস লিখে দিল নাম।
আমি 'ইউরেকা'
'ইউরেকা' চিৎকারে
অমলতাস-এজেলিয়া-জিনিয়া
পরাগমুণ্ডে জব্বর মাখিয়ে দিই তোমার নাম।
ও দিল দরাজ
আশমান,
আজ হতে আমি তোমার কাছে ঋণী।
ও কাজল ধোয়া
মেঘ,
আজ হতে আমি তোমার কেনা গোলাম।
কৃষ্ণ নাম নয়,
তোমার নাম জড়িয়ে মাঝে মাঝে আদর করতে খুব ইচ্ছে করে।
মুছে যায় সন্ধ্যার
নম্র নীল অন্ধকার,
নক্ষত্র হয়ে জ্বলে তোমার নাম...
রিভেঞ্জ
জীবদ্দশাতেই
মৃত ছিলাম।
এখন সেই মৃত
অঙ্গ জ্বলছে।
মিছে কাঁদছো
কেন তবে?
জীবনে আগুন
জ্বালাই নি,
এখন আগুন আমায়
জ্বালছে।
চতুর বাতাস
আগুন নেভানোর মন্থরা মন্ত্রণা দেবে।
সাবধান! দিও না কান।
সুযোগ সন্ধানী
বৃষ্টি আগুন নেভাতে হাতে গুঁজে দেবে।
সাবধান! বাড়িও না হাত।
জীবনে আগুন
জ্বালাই নি,
এখন আগুন আমায়
জ্বালছে।
তূষের আগুন পাঁজরে।
জ্বলছে ধিকি
ধিকি।
আগুনটা একটু
উসকে দাও,
আগুনটা একটু
উসকে নাও...
কাগজ মানুষ
উড়ছে শুকনো
কাগজ।
অন্তঃসলিলা
ফল্গু মৃত কচ্ছপের মতো উপুড়।
ঠাণ্ডা গাড়িতে
ঠাণ্ডা ঘরে স্যুট-বুট-টাই।
ব্লেজার উল্টে
দেখবে শুকনো মানুষ।
কাগজ মানুষ।
আহ্নিক গতি
রুটিন।
খাড়া বড়ি থোড়,
থোড় বড়ি খাড়া।
জল থৈ থৈ জীমূত
পথ ভুলেও না আসে
শুকনো শাদা
কাগজের কাছে
শুকনো কাগজের
ছোঁয়ায় শুকনো হয় পাছে।
উড়ছে শুকনো
কাগজ।
অন্তঃসলিলা
ফল্গু মৃত কচ্ছপের মতো উপুড়।
শুকনো কাগজের
সাথে পাল্লা দিয়ে
শুকনো কাগজ
শুকনো হচ্ছে...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন