কবিতার কালিমাটি ১০৬ |
আকণ্ঠ বিদ্যুৎ তোমার উলটো পিঠে
অ - অমিত নদীর বুকে অপেক্ষার ডিপ্রেশন
শুরু এভাবেই, এই আমাদের স্পষ্ট হাত পা এবং দাঁড়াবার ভঙ্গিটি, পড়ে থাকা আজন্মের মাথুর থেকে বিষম বোধের ধ্রুবতারা শান্ত; পাশে সোহাগের রাস্তা ধুলোয় ছড়িয়ে পড়ে, মায়ায় লেগে থাকে কেন্দ্রাতিগ পথ; পিপাসার্ত লেটার বক্সে জমা হতে থাকে পাখির কূজন
তাহলে অফুরান সূর্যালোক ক্লোরোফিল আর খনিজ জল, খসড়াটি সীমাহীন সমুদ্রের ফিনিক্স, আরও বেশি নিমগ্ন হয়ে এক্স রশ্মিগুলিকে স্বপ্নে বসিয়ে দিই
অসুখ : অথচ অরণ্য জুড়ে তালুরেখার দিকে তাকিয়ে থাকে অনন্ত
আ - আঙিনা নিয়ে ষড়ভুজ অনুভূতিরা ওভারল্যাপ করছে আব্রু
সবুজ ঘাসের ঘ্রাণ এই চারণ জীবনে মিশে গেলে উড়ন্ত বক রামধনু পেরিয়ে যায়, বদলে যায় ইতিহাসের ঘনত্ব : মাধুরীর প্রচ্ছদ; এই মিহি নভোচর গ্যালাক্সির নিচে মেঘ রচনায় আশ্রয় নেয় বৈঁচি ফলের রং - ক্রিয়াকালের ছায়াঘেরা প্রশ্বাসে জেগে উঠে জুরাসিক চোখ, পূর্ণিমা জমে ইমোশানে -
স্নান করতে করতে বাড়াতে থাকি দিগন্ত, তারপর নিশ্চিত নিদ্রা আর বহতা নদীর ছলাৎ ধ্বনি - এ যৌগিক আবাদে কার সাথে কথা কও কার্ডিয়াক জোন -
আজন্ম : মগ্নতা ভেঙ্গেচুরে দিচ্ছে টেকটনিক এই প্লেট
ই - ইহকাল মেলে ধরে ভাসমান সাঁতার এবং সানসেট
বিহ্বল শিকড়ে খনিতেল নিয়ে নিঃস্ব লাগছে খুব তবে নদীকথা ভাঙছেই, ঝরে পড়ছে বিনম্র মাটির মোহজাল, ক্রমাগত উড়ে যায় সঙ্গমের ঘরবাড়ি, রুট ম্যাপে পিছলে যায় পরজন্ম; মাথা নিচু করে হাঁটতে হাঁটতে কুয়াশার ভিতর ইমন গাইছেন সন্ধের নীল লাবণ্য
ইচ্ছে, তুমিও কি ভালো নেই; অক্ষরেখায় ছিল যে মায়াজ্বর যৌন বাঁক পেরিয়ে যায় ভাসমান পর্ণমোচী অস্থিরে; পঙক্তিহীন বিন্যাসে নিঃসঙ্গ বাষ্পমোচন
ইন্দ্রিয় : পিপাসা থেকে খুলে ফেলো সব ব্ল্যাকডেথ
উ - উদিত নাড়িচিহ্নে হেঁটে যাচ্ছো ভাঁটফুল গন্ধের দিকে
সকল বিষণ্ণতা দূরে শ্বেতপদ্ম আর নিভৃত অন্ধকার; কুয়াশা শব্দের দিকে তাকানোয় কোনো নিষেধ ছিল না, বকুল গাছের কপাটিকা হয়ে স্ব-স্নেহের রিপু কোষে বিরহনিবিড় ছায়াপথ, হৃৎপিণ্ডের জন্য আপ্রাণ ডুব দিতেই আত্মস্থ করেছি শ্যামাঘাস বিছানো উদয়ের কোলে হরিৎ মণ্ডপ
প্লাবন চেয়েছি সূর্যমুখী নদী, ভিতরে ভিতরে নির্জন হয়ে যাচ্ছি ই সি জি গ্রাফিক্স নিয়েই, জোয়ার ভাটার দীর্ঘ ষোল কিলোমিটার অনিদ্রার আয়ুতে ধস নামে
উত্তরণ : শাখায় শাখায় জেগে ওঠে অনির্বাণ আহ্নিক
এ - এষণায় একতারা বাজলেই ক্যানভাসে উঁকি মারে ক্রিমসন আঁখি
বটগাছের ধূসর মোহের কাছে দীর্ঘ হয়ে যায় ধ্রুপদী প্রশ্বাস, গ্রীবা থেকে ঝোলানো সাধনায় মর্মান্তিক গ্রীষ্মের দুপুর, আস্ত একটা জীবনও ভাববাচক বিশেষ্যে, পাশ দিয়ে চলে যায় সোনাঝুরি সংহিতা, একাত্মবাদ পদাবলিতে দিগন্ত ছুঁয়ে আসে ধানচারা মাঠের শীর্ষ বিন্দু
নদী আজও শ্বাসাঘাত পয়ারে মোহনার দিকে, কনসেনট্রেশান ক্যাম্পে জেগে ওঠে লতাপাতার শ্লোক, জেনেছি পথের একা ব্যথাও, শ্যাওলার গায়ে গত জন্মের দাগ
মহিমা : লিখে চলেছেন উপকূল অক্ষ বরাবর অনন্ত প্রতিসরণ
ও - ওষ্ঠবর্ণে ভেসে আসে সিগন্যালহীন সুষম চন্দ্রমা
ঈষাণ কোণে ফ্যাকাশে বিদ্যুৎ; নিচে এত ভীষণ শ্বাস, টাচ স্ক্রিনের মৃদুল প্রভায় জ্বালিয়ে রাখে আমাদেরই ক্ষীণতম প্রাণ, কিউবিক রিদম অতিক্রম করে য়ায় নিঃশর্ত মৌলিক রাশি, তলপেটের রং টপকে সূর্যোদয়ের ভগ্নাংশগুলো জোড়া দিতে দিতে মাইলেজ ভরে দেয় ওম
বলো পদ্মাসন, পৃথিবীর গান্ডিবে তুমিও কি মহার্ঘ এক আত্মঘাত, কদম গাছের নিরুদ্দেশে ধু-ধু নাবাল জমি অথবা ওয়েসিস ঘ্রাণের সঞ্জীব আবেশ
ধ্যানমগ্ন : মঞ্জিলে মুক্তপদী আলাপ খুঁজে চলেছেন বিভাস
মাথার উপর আড়ি পাতে পশ্চিমের মেঘ, মুখোমুখি শূন্যে সূর্য চাঁদ আর শনিগ্রহ, আঠালো নৈঃশব্দ্যের কালো কালো সর পড়ে আছে চরাচরে, ফোকাস দূরত্বে শিশিরের প্রেম সম্পর্কিত ভাষা নেই, সুদূরের অর্থ জানতে চেয়ে রাস্তা পার হতেই ফ্রেম থেকে আউট তলাতল
নদীটির নাম জতুগ্রহ হলেই চোখে পরে নিই ত্রিযামা সানগ্লাস, ঘনিয়ে আসে জলের দিকে তাকানো সংলাপ - শুরু হয়ে যায় সমাধি খনন : সোমবার মঙ্গলবার বৃহস্পতিবার
অ্যান্টিক : বিভাজনে দেখা যায় আমিই মৃত্যু অথবা আমিই শস্যভূমি
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন