কবিতার কালিমাটি ১০৫ |
কোমল গান্ধার
তেমন একটা রাত
ছিল তখন,
যেদিন বিকেলে,
সর্ষে ফুলের
আলোয়,
ক্ষেত ভরে তাকে
দেখেছিলাম,
তখনও শীতের
রাতে,
আগুনের কাঁথায়
মুড়েছি,
নিজেকে ও শৈশব,
এলোমেলো আবৃত্তির
মতো,
যেখানে ঘুম…
পরপৃথিবীর পানে,
বহুদূরে হেঁটে
গেছি,
জল ছুঁয়ে বহুদূরে,
কাদাখোঁচা বক
হয়ে,
ঘুরে ঘুরে মরে
গেছি,
বিকেলের সোনালী
জল,
গান্ধারে সুর…
তারপর
চরাচরে রাত
এলো,
পুরনো নদীর
বুকে,
বুকভেঙে রাত
এলো,
শরতের কাশ এলো,
মোহিনী আলোর
মতো,
ফুল এলো, পাখি
এলো, গান এলো,
একেকটা পাথুরে
রোদ,
বিকেলের গায়ে
এসে লাগে,
রেলগাড়ি ছুটে
গেছে,
ঝমঝমে সেতু
বেয়ে,
বহুদূরে ছুটে
গেছে,
শহরের পরে শহর
পেরিয়ে,
আশ্বিনে গোধূলির
মতো,
মিশেছে দিগন্তপারে,
যেখানে নদীর
বুক,
থেমেছে অনেক
বছরে,
শেষ হয়ে আসা
কাদাজলে,
রূপোলী মাছের
ঝাঁক,
স্বপ্নের সাতরঙে
মেশে…
দুনিয়ার হাট
যে হাটে সস্তার
পাল্লাতে,
কবিতা বিকিয়েছি,
তাজা রুইমাছের
মতোই,
এগুলো থাক বরং,
কানকোতে রং
ধরুক,
আঁশটে কলকাতার
বাজারে,
দু’এক পশলা
উপন্যাস আসুক,
চাঁদিনী রাতের
ভিড়ে,
মুসৌরী পাহাড়ের
উপর,
বিদগ্ধ বসেচে
কেউ,
যেখানে ঢিলা-পাথর,
কবিতাকে দিলাম,
অযাচিত অনুভূতির
পাহাড়ে,
কানকো-রং…
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন