এখন কথা বলার সময়
আমার বাসিন্দা পাড়ার ফুলগাছ দেখতে
ও পাড়ার মেয়ে
দৈনিক গ্রাম্যগলির পথ ধরে হেঁটে যায়
খুব ভোরে
জানালার রোজগার বাতাসে
প্রজাপতি ওড়ে,
দু’চোখের লজ্জারং তাঁর চোখ আঁকে; প্রেম।
এই ব্যাকুল আনন্দ
আর মৃদু হাসি মেলে ধরে
সুমিশ্রণ নোনতা থুঃ থুঃ গিলে খায়-
সংসারের ঠিকানা;
বসন্ত এসে গেছে। বর্ষা এসে গেছে।
এখন কথা বলার সময়।
জলমুদ্রা
চোখের জল এত নোনতা, স্রোতের ধ্বনিতে
হুড়মুড়িয়ে ফেরত দেয়
নিঃসঙ্গতা আর সুখ হারানোর গান-জলমুদ্রা;
কার কাছে যেন সুখ হাওলাদ চেয়েছিলাম
বহুঘর-দরজায় সম্মুখে নোলক পরা
নতুন বধূর পাড়া থেকে
বিছিন্ন আগ্রাসী ছেলেপুলের শিস লুটে
হাজার বছর দখিনা হাওয়ায় গাছ দোলানো
সজনাপাতায় অনেক যুদ্ধের ঢেউ গুণে
আকাশে-আকাশে গ্রহাণু,
পাখি পালকের খাসকামরায়
ভীষণ ব্যথার পটভূমিতে জলমুদ্রার বসন্ত যায় লিখে-
তোমার নামে একটি পাহাড় কিনেছি
তোমার নামে একটি পাহাড় কিনেছি
চলো রাত জাগি
চওড়া বাতাস মাখি দুজনে
দর্শনের চোখ খুলে দেখি
রাতের আকাশ
তাওয়া দেওয়া জ্যোৎস্নার সাহারা চাঁদ;
শক্ত করে ধরো,আরও কাছে।খুব জড়িয়ে-
দূরে টিমটিম জ্বলা গেঁয়ো পল্লীতে জোনাকিপোকা ওড়ে
তাঁরপাশে অন্ধকূপের মতো রেইনট্রি ঝোপঝাড়-
মকবুল বুড়োর ডুবে থাকা পৈত্রিক দিঘী,
শেওলাগুলো লেজ ঝুলিয়ে বসে গেছে
হীমযুগ ঠাণ্ডার মোটা জলে
আর আমি শোনাবো পুরাতন সুরে মধু মালতি গান।
নীলকণ্ঠ পথে রক্ত ও মেরুদণ্ড
ঝিনুকে জল পান করতে করতে অসাড়ে মরা বাবলা
বৃক্ষের নিচে পিঁপড়ের পৃথিবী দেখতে পেলাম।
রিকশার হুডখোলা উঁচুঢিবির মত
দূর্বাঘাস পেঁচানো নীলকণ্ঠ পথে রক্ত ও মেরুদণ্ড আঁকা-
সুনিপুণ চিকচিক রোদ শোকের কালোজামা পরে
নিজস্ব হারা আর্তনাদের নোনতা মুখে
নক্ষত্র কিসসার পাঠশালায় হাজিরা দিতে দিতে
ডুবে যায় শ্রাবণ সন্ধ্যা;
শ্রাবণ সন্ধ্যা নির্দয় বেদনার ভাঁজ খুলে পড়ে
লুকিয়ে থাকা গর্তে লাল কাঁকড়াবিছার খল খল হাঁটা
ভাঙচুরে সবুজ মুখ তোমাকে ফেরত দেবে
মুদ্রার মত রুপার জলে আদিগন্ত বিশারদ
আর ভাত শালিকের হাড়পায়ে পাকা কলার রঙ ঝুলছে!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন