বুনো
পিঠের রোঁয়ায় সাঁতার দিতে দিতে দেখা
বৃষ্টির অস্থির নির্লজ্জতা
তোমার ঘামে নুন তেতো কেন?
দুপুরের বন্যতা চিনে নিতে তাড়া থাকে
না;
আগুনচিড় আকাশের আলস্য চেটে ফেলে
তোমার একান্ত ছুঁই বাঁ পায়ের প্রান্তে
নদীগর্ভে গুলে দাও বেসামাল প্রশ্বাস।
স্নানকালে জিভে ধরি
তুমি চোঁয়ানো দ্রুত সাপধারা...
মুখস্থ করে ফেলেছো আমার সবটা অরণ্যঅভ্যাস।
অন্য হ্যামেলিন
একবুক এঁটেল সমানে বক্তৃতা খাচ্ছে
এমন নয় তেমন হয়, এপাশে দেখো
দেখোই না... কেমন ভাবে মেলে ধরা যায়
শব্দগুলো, নানান অপ্রত্যাশিত দরদামে;
সবের মধ্যে যদি শুধু নজর বরাবর
কোনো কথা হবে না’র দল উঠে আসে
পলাশচূড়োয়, বিপর্যয় নরম সরম
…শরম?
সন্ধান চাই সরসী,
তোমার কতখানি আধখানা
হা পিত্যেশ নিয়ে বসে আছে।
একটা আগুন, একটা রোদ
রোদচশমার ছাই বেয়ে উঠে বসে
বাঁশিওয়ালা একপশলা
পেট্রোলসুরে।
টোল পড়া আনচান জমে থাকে হাতঘড়িতে
গাছ পাথর কাটাকুটি
করে করে
পড়ে থাকে একরত্তি
নাবিকের মালিকানা
ঢেউ; গুনতে গুনতে বুনে চলা যায়
চাপরাশিরোদ, রংজ্বলা চান শুকোনো
গামছা উড়ে
উড়ে উড়ে...
বসে থাকে নির্নিমেষ
শ্যাম্পুগন্ধে।
গড়িমসি ভুলচটকা, কিছু বৈকালিক
শেষের শুরুতে
দুধ-গঙ্গা জলে শপথ ধোয়
এমন ভুল আবার
হবে, তোমার ওই ব্যস্ত
কেজো কেদমভর
নিঃশ্বাসে গুটিসুটি মেরে
চূড়ান্ত দুরন্ত
করে এক পালাবো, দুই পালাবো
তিনের নামুক
ঝালসন্ধ্যে।
সোজা চোখ বন্ধের মর্টার
হামি খেয়ে
মর্চে ধরুক, গুঁড়িয়ে
খেলা আধহাত
সীমানায়,
একবাক্স বন্দী... গণ্ডী,
বানান ভুলের
মাঝেও বুঝে ফেলা।
বাহ।
উত্তরমুছুন