শেষবারের মত বেঁচে ওঠো
রাত আরও গভীর হলে
পৃথিবীর একাংশে মানুষ জেগে উঠে
পাল্টে দেবে পশুর সংজ্ঞা
পৃথিবীর গোলাকার পেটের ভিতর
ঘুমিয়ে পড়বে ক্ষুধার্ত শহর।
কিছু ঘরের বিছানায় জেগে থাকা
সদ্য বিবাহিতরা নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে
এগিয়ে যাবে মৃত্যুর দিকে।
এরপর আর কেউ বুঝতে পারবে না
গভীর রাতের গভীরতা
রাত বেড়ে বেড়ে পৃথিবীর একাংশ গ্রাস করলে
জীবনানন্দ শহরের রাস্তায় ঘুরে ঘুরে দেখে নেবে
কতটা পঙ্গুত্ব গ্রাস করেছে জীবন ও আনন্দ।
জীবনানন্দ তুমি শেষবারের মত বেঁচে ওঠো
আমাদের দরজায় রেখে যেও
শব্দের শীতলতায় জীবন আর আনন্দের মেলবন্ধনে
শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ উপহার।
কবিতার কাছে এস
জীবাণুমুক্ত হয়ে উঠে
অতীব নবীনের সভায় এসে দ্যাখো
ঘাসফুল ছুঁয়ে নেমেছে বসন্ত।
জীবাণুমুক্ত হয়ে
এস, আরও একটু কাছে এস
কবিতার কাছে এস,
নিয়মের বাইরে বেরিয়ে দ্যাখো
সংকীর্ণ গুহার বাইরে সময়ের স্রোতে
ফুলচিহ্ন আঁকা রাস্তায় মুছে গেছে
পৃথিবীর সব দৃঢ় দেওয়ালে লেখা
শক্তিমানদের গাল ও গল্পের কাহিনী।
এস কবিতার কাছে এস,
আত্মার জাগরণে ফুটিয়ে তোলো
ভালবাসার গোলাপ।
শিকড়ের মত অধোমুখী হয়ে
ভালবাসার পৃথিবীকে সবুজ করে তোলো
কবিতার কাননে সমর্পিত হয়ে
নবরূপে পুষ্পিত হও হে গুণী!
কখনো বলিনি আমি
আমি কখনো বলিনি,
আমার পাশে পাশে হাঁটো
আমি শুধু বলেছি
অন্ততঃ আমাকে তোমার পাশে রেখো
যাতে জীবনের কাছাকাছি আলোর দিকে
আরও একটু এগোতে পারি।
আমি কখনো বলিনি
কার্পন্যহীন ভালোবেসে কাঙ্গাল হও,
আমি শুধু চেয়েছি
একটু ভালোবেসে ভালোবাসো আমায়
যাতে ভালোবাসাময় পৃথিবীতে
ভালোবাসার কারণ খুঁজে পাই।
আমি কখনো বলিনি
তোমার তুমিকে বিসর্জন করে
আমার মত করে নিজেকে তৈরী কর
এইসব কখনই বলিনি,
আমি শুধু চেয়েছি
আমার জন্য একটু অপেক্ষা কোরো
যাতে তোমার কাছে আসার কারণ খুঁজে পাই
তোমার মত করে আমি অন্য আমি হয়ে উঠতে পারি।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন