কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮

অভিষেক ঘোষ




ডাকঘর ফুরানোর আগে,
এটুকু যদি অমল বুঝত 
 

আরোগ্যরোগ পার হওয়ার পর আমার কোনদিন অসুখ আসেনি।
তবুও অসুস্থ যেভাবে থাকতে চায় না, আমিও চাইনি...
কমলাখোসার রস
চোখ খুলে রেখে, এই দ্যাখো বীরত্ব... আমার চোখ পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে...
আমি পারি নি তাই
এবার বলছি  
তুই আমার মনের কাছে বস।
বসে বসে আমায় ম্যাপ পয়েন্টিংটুকু শেখা আগে, দেখা ঠিক কাকে,
আগলে রাখলে সবকিছু চলে যায়
তুই বিদায় বলবি না একবারও এই মুখের তর্জনী দিয়ে,
বরং চিৎকার করে উঠে বলবি নিরুপায়। নিরুপায়
আমিও ঠিক নিরুপায় এখন... সমস্ত ভালো থাকা মেঘের মতই
যাদের রোদ এলো না আকাশে বলেই, প্রতিদিন বলবে চল
যেটুকু কথায় আমি তোর সুযোগ থামিয়ে দি,
ঠিক সেখান থেকেই তুইও শুরু করবি,
একদম আমার মতই অবিকল...
যেখানে ভয়ের পেখমে, ময়ূর আর কোনদিন বাহারি কিছু
দেখাবে না,
বলবে না একবারও আর কোন কথাও কটু কোরে,
তুই মাথায় চাটি মেরে মেরে  আমার মাথাই আজ রাখিস নি,
যে বিপ্লব করেছে, সাড়ে দশ লাইন পড়ে...
সেখানেই তো ঘণ্ট কোরে গেছে সফল রাধুনিও, পয়সা নিয়েছে,
ঠিক যেভাবে সেভাবে কবজি মুড়িয়ে নেওয়া যায়...
তবে এই যে রোগ যাকে নিয়ে ভাবতে বসলে হাত পা কেমন কাঁপে,
আলোচনা করলে আরও

দেখতে গেলে দেখা যাবে তার
জন্ম হয়েছিল আসলে কাবুলিওয়ালার, অবহেলায়...


লঞ্জেসখোরের বৃদ্ধ বেলার শীত আসবে সময়ে

                                                
তড়িৎযাপনে ঝলসানো আকাশরেখায়, রেখাপাত মুছে গেছে...
সূচে সূচে তীক্ষ্ণতা বুঝে গেছে এখানেও দাঁতে দাঁত চিপে লেগে
থাকা দরজায়, মর্মরধ্বনিতে যে যার গাছের নীচে নিয়ে যায়,
ফলপ্রসূ যা কিছু থাকে না জীবনে...   
তাই তো মনে থাকে, মন থেকে ঘরের কোণে থাকে,
তবুও জানলা খুলে অন্যের মনে ঢোকার আগে তাকে,
আটকে ধরি
যাতে আমি যা কিছুই না পড়ি, যা কিছু অর্ধ শতদেহে
পড়ি, তাও যেন বহু যুগ আসে নি কোন খেলায়...
তড়িৎ তুমি বিদ্যুৎ চিহ্ন লেখো, রাগ হলে চটকে ভাত মেখো,
আমায় কেবল দেখতে দাও এই পৌষ মেলায়,
কে কার হারানো পুতুল ফিরে পায়, কে কার বক্ষ তেজ
ছিঁড়ে খায়, কে কার আতসবাজির পিঠ চাপড়ে চাপড়ে
নিজেই ঢোকে চমকিত শব্দের জালে।
যার আড়ষ্ট নেই জিভের জল, যেখানেই পড়ুক সে শিখেছে
আরও বেশি কথা বল,
যাতে কোরে টোপলা হয়ে কোনও কিছুই আটকে না থাকে,
গালে...


অছন্দের চিতা বাঘ হয় নি

                                            

পাঠক যত ছোট হয়ে আসবে, কথা বাড়বে
যেভাবে, কথা ছোট করে আনলে
নাকি শুনেছি,
পাঠক বারে।
আপাতত, এটুকু ধাক্কা তুমি সহ্য
করে নাও,
আমি এটুকুই পাঠাবো তাদের,
যারা অপ্রকাশিত কোন কিছু
না পাঠালেই স্কেল নিয়ে তাড়াক্ষিত,
প্রতিক্ষণ আমার পেটে মারে।
আমার পেট তৈরি হয় নি কোন মাস্টারির
জন্য,
যদিও ঘেন্না যাকে বেশি করে করবে,
তুমি তাকেই পাবে।
আকারে বিভক্ত হবে মেঘে মেঘে ছাই লাভ,
আমার বই হলেই, তুমি দু’ দণ্ড ভালো মন্দ খাবে 
যে খাবার অরুচি জানে, জানে তন্দ্রা খেতে পারে না
সে,
বলতে পারে বারবার,
আমি কিন্তু
তোমার বই করি,
শুধু তোমায় ভালবেসে
তবে যদি মানো
এই
ভালবাসাই হারিয়ে একদিন,
বক্ষ পাশ ঘেষে শুয়ে পড়ে  
শুধুই
শিল্প জন্মরত রাগ চুষে
চুষে  খেত...
তুমি তো জানো আমার লড়াই,
আমার আঁখিকেও
প্রথম প্রথম কেউ কেটে, কেটে
যাতে ছন্দ মিললে
একটু ভালো লেগে যায়,
তাই,
চোখ করে দিত।






0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন