কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৮

পৃথা রায় চৌধুরী




ছায়াবোধ

প্রত্যেক সেন্টিমেন্টাল একেকটা সকালে
সপ্তাশ্বের ক্ষুরে সন্ধ্যেবাতি দেখাতে ভুলি না,
ইতিহাস ফালাফালা করি
বহুবছর আগে ট্রেনের কামরায় কেনা
চার ব্যাটারির ধারে।

ভালোই লাগে সব স্লাইস
মাখন-মরীচ মাখিয়ে
তিন আঙ্গুলে তুলে আহুতি দিতে,
আলো বেড়ে যায়,
সাথে বাড়তে থাকে জমাট ভুসো;
তৈরি হয় প্রতি দেওয়ালে
পুরুষআঁচিল তোমার অবয়ব।

দাউদাউ জ্বলে যায় হিমবাহ
শেকল বন্ধ ঢেউয়ে
রক্তগোলাপ চাপা দাঁতে।

গায়ের খসখসে খড়িগুলো এখন
অলিভ অয়েল মেখে শিশির ভেজে
তোমার আবেগ ঘেঁষে;

তুমি জানতে পারো না।

অবদমন

অগত্যা সমস্ত হলুদ পাতা গুছিয়ে তুলে রাখি
হাসনুহানা বাঁকে,
বিলুপ্তি সন্ধানে অজান্তে
অমলিন জড়তায় নির্ভর করে
পরমপ্রাপ্তি অলীক নহবতে।

শাব্দিক উচ্চারণ
স্বতঃস্ফূর্ত সাজিয়ে তুলি
আকন্দনির্যাস মুখবন্ধে অযথা।

যাবতীয় চাওয়াপাওয়া
সাদা পৃষ্ঠাময় গোপনে অভিসারী,
স্মৃতিতে রাখা নির্দেশ,
সঞ্চারী নারী,
নামহীন সম্পর্ক গোত্রহীন থাকাই শ্রেয়।

দৃঢ় ভরসায় ঘাই দিয়ে
কাঙ্ক্ষিত ঘ্রাণ সন্ধান করি
মরিয়া 'মা ফলেষু' বাধ্যতায়,
অগোচরে নগ্নতা মুড়ে
নগ্নতা ঘুমায় অপ্রকাশিত।


আকস্মিকতায় অবাক হই না আর
দিব্যি নির্বিকার বসে থাকি,
ভাবি, একটু গোল্লা চোখ, হুতোমমুখো হওয়া
উচিৎ ছিলো বোধহয়;
তারপরেই এক কাপ
অরগ্যানিক চায়ে মন দিই।

দুই কানের সদ্ব্যবহার শিখেছি
নায়ক-নায়িকাদের গোটা চারেক বিয়ে,
গড়পড়তা ছ'-সাতখানা ধর্ষণ,
শিক্ষককুলের জল্লাদ হয়ে ওঠা,
ইত্যাদি, প্রভৃতি, বেশ হাওয়ায় ভাসিয়ে
নিমেষে গদগদ হয়ে যাই।

এই যেমন আপাতনিষিদ্ধ ছবি
পর্দায় ফুটে উঠলেই
মুখ ঢাকি দু'হাতে
আঙুলের সূক্ষ্ম ফাটলে নজর রেখে বলি
আমি সভ্য,
সংস্কৃতির ছাপ্পান্ন পুরুষ
আমার ভরসায় থাকে।

মহান আমি, মস্ত আমি,
আমিই আমি,
স্ট্রংরুমের লকারে
অলিখিত দাসখত।



0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন