আমাদের কালো বিড়াল
নিজেদের কালো ধুমসো বিড়ালগুলো আমরা ছেড়ে দিয়েছি যেদিকে দু'চোখ যায়।
ঘোরাঘুরি করছে এখানে ওখানে। পার্ক,
মল, খেলার মাঠ সর্বত্র ওদের যাতায়াত।
মাছ খাওয়া ওদের স্বভাব নয়, বিশ্বাস করুন। কারর দুধের বাটি উপুড় করা ওদের অভ্যাস নয়। সন্ধে হলেই ওরা নেমে পড়ে কাজে। শুধু ভীতু, দুর্বল মানুষগুলোর
সামনে দিয়ে ওরা রাস্তা পারাপার করে।
জীবন যে রকম
উপন্যাসটার প্রথম থেকেই একটা কার্নিভালের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে
প্রথম পৃষ্ঠাতেই জমজমাট নাটক
তোমার এলানো শরীর একটু সোজা হয়ে উঠলো
গল্পের দ্বিতীয় অধ্যায়ে মোড় নিলো কাহিনী
সিরিয়াস,
কখনো সাসপিসিয়াস
ভালোবাসা,
ব্যর্থতা, রক্ত,
খুন
জমে গেছে, জমে গেছে ভীষণ,
পেঁয়াজের খোসার মতো জুড়ে যাচ্ছে রহস্য
মাঝদরিয়া থেকে গল্প এগোচ্ছে তরতরিয়ে
রক্তের দাগ ছুঁয়ে যাচ্ছে প্রতিটি পাতায়
ধৈর্য্য ধরো, ধৈর্য্য ধরো, ধৈর্য্য ধরো ক্রমশ
শেষ পৃষ্ঠায় যাবার আগে আর একটু সংযত হও পাঠক
পরদেশিয়া
রেলিং-এর ধার ঘেঁষে দুটি শালিখের খুনসুটি চলছেই
একতোড়া হাওয়াই-মিঠাই নিয়ে এইমাত্র রাস্তায় মিলিয়ে গেল এক ফেরিওয়ালা
পাশের বাড়ির কাজের মেয়েটা ছাদ থেকে নামিয়ে আনছে শুকনো কাপড়
এখনও সারা গায়ে তার রাতের জ্যোৎস্না লেগে আছে
যে ঘুড়ি কেটে গেছে তার সুতোর মতো মায়া ঝুলে আছে অলৌকিক কার্নিসে
উদাসী রুমাল নাড়িয়ে যায় দক্ষিণের হাওয়া
পুরনো চিঠি হয়ে উড়ে আসে রাধাচূড়ার অভিসারী পাতা
দরজা হাট খোলা, তুমিও দাঁড়িয়ে আছো নিঝুম বারান্দায়
বেলা যায়, পরদেশি ছায়া এসে ঢলে পড়ে তোমার বুকেতে...
মসনদ
এইমাত্র তরবারির রক্ত মোছা হয়েছে
এইমাত্র নবাবের রক্তাক্ত শরীরটা টেনে হিঁচড়ে
নদীর জলে ফেলে এসেছে তারই সন্তান
খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে দাবার ঘুঁটি
ইতিহাস দাঁড়িয়ে আছে আর একটি সন্ধিক্ষণে, এইমাত্র
রাত ফুরিয়ে আসছে
আশ্রয় থেকে বেরিয়ে পড়েছে কয়েকটা কবুতর
শাহজাদা পোশাকের রক্ত ধুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন
নতুন উৎসবের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে পুরবাসী
মসজিদ থেকে ভেসে আসছে আজানের সুর
আঁচল খসানো আকাশ স্তব্ধ,
আনমনা
যে সেনা তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল
সে আজ সেলাম ঠুকে বলছে,
মসনদ তৈরি জাঁহাপনা!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন