কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮

জয়তী দাস




ঢেকে যায় মেঘে

খুব খেয়ালী নদীর স্রোতে এ শ্রাবণ ভেসে গ্যালো-
সে তো জানলই না, তাকে মলাটে ঢেকে রাখি রোজ!
আজও সে মেঘ, জমানো বাতাসের ছাদের কোণে-
ডুব দেওয়া আক্ষরিক দু’ এক ছত্র, এখনো পড়েনি মন!
আঁকে শরতের তৈলচিত্র, শিউলির কমলা সাদায় মিশেল-

মানুষের হাঁকডাক তেমন যেন, পথ বদলায়নি আজও!
রোজ চায়ের চিনির শহরে - মজবুত, সংবেদনের গ্যালারি,
চিমটি কাটি স্নায়ুতন্ত্রে - নখের বিষে কালো ছোপ সর্বত্র;
একদিক ছেড়ে আরেক দিক, রোগা পাতলা জমানো গোত্র -
ঠিক না চেনার আগে মুছে নিই আয়নার মুখ, সবাই  সন্ধানী!

অনটন মেপে হারিয়ে যাচ্ছে পাল্লার বন্টন পরিষেবা-
লাইনের ওপরের দাগে প্লাকার্ড ঝোলানো দামেরা হরবোলা!
হিসেব নিকেশ থামলে যেন মুছে যায় না রেশ-
কাটাকুটি দাগ কখন কোথায় ভালোলাগা'দের চায়!
একাকী বোঝাপড়া জানে, কোথায় কোনটা মানিয়ে নিতে হয়-


তামাটে ঘ্রাণ

এখন বোধহয় ইটের ভাষা খুঁজতে হবে রোজ,
চাপা রোদ অঙ্কুরে, হলুদ টিনের চালে নারকেল পাতা ছাওয়া!
ভালোবাসার নরম জ্বালে, আগুন কখন তামাটে বন্যা-

অদূরের সংকেত কাল গিয়েছে থেমে, সবাই বোঝে না
উল্টো শব্দের সংজ্ঞায়, সমাধি খুঁজতে মহল যখন তাজ!
যৌনতা ছিঁড়েছিলো গাছের পাতা, আছড়ানো ঝড়ের পাটায়!
পেশিতে ঝোলানো ডালে, বিধ্বস্ত ক্ষয়ের কালসিটে দৌরাত্ম্যে;
সকাল সেদিন আরোও নগ্ন, বাতাসের হাতচিঠি ছিঁড়ে ছিলো মগডালে!
তুমি জানতেও পারলে না গতরাতে, একটা গোলাপ ছিলো তোমার প্রতীক্ষায়-


মাধুকরী

বোঝাতে পারিনি সেদিন,
গাছেরাও মায়া চায়-

দুটো বিকলাঙ্গ পা, অন্ধ চোখের বিনিময়ে;
একটা শেকলই যথেষ্ট, এক জীবনের নিরিখে-

মনের হাজারদুয়ারী অসংখ্য সেল নিয়ে বসে আছে,
মন্দিরের অনেক নীচে হাত পাতে ভগবান!

জল দানও, হারিয়ে ফেলে মহত্ত্ব! বন্যার বানভাসি,
আগুনও হয়ে ওঠে মহীয়ান, খিদের উপত্যকায়;

তবুও পরিপূরকতা জেনেই তো চোখ মেলে থাকি,
বেলা বাড়লে ঠিক তুমি আসবে, আমিও দু’হাত পেতে-





0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন