ঢেকে যায় মেঘে
খুব খেয়ালী নদীর স্রোতে এ শ্রাবণ ভেসে গ্যালো-
সে তো জানলই না, তাকে মলাটে ঢেকে রাখি
রোজ!
আজও সে মেঘ, জমানো বাতাসের ছাদের
কোণে-
ডুব দেওয়া আক্ষরিক দু’ এক ছত্র, এখনো
পড়েনি মন!
আঁকে শরতের তৈলচিত্র, শিউলির কমলা সাদায় মিশেল-
মানুষের হাঁকডাক তেমন যেন, পথ
বদলায়নি আজও!
রোজ চায়ের চিনির শহরে - মজবুত, সংবেদনের
গ্যালারি,
চিমটি কাটি স্নায়ুতন্ত্রে - নখের বিষে কালো ছোপ
সর্বত্র;
একদিক ছেড়ে আরেক দিক, রোগা পাতলা জমানো
গোত্র -
ঠিক না চেনার আগে মুছে নিই আয়নার মুখ, সবাই
সন্ধানী!
অনটন মেপে হারিয়ে যাচ্ছে পাল্লার বন্টন পরিষেবা-
লাইনের ওপরের দাগে প্লাকার্ড ঝোলানো দামেরা হরবোলা!
হিসেব নিকেশ থামলে যেন মুছে যায় না রেশ-
কাটাকুটি দাগ কখন কোথায় ভালোলাগা'দের
চায়!
একাকী বোঝাপড়া জানে, কোথায় কোনটা মানিয়ে
নিতে হয়-
তামাটে ঘ্রাণ
এখন বোধহয় ইটের ভাষা খুঁজতে হবে রোজ,
চাপা রোদ অঙ্কুরে, হলুদ টিনের চালে
নারকেল পাতা ছাওয়া!
ভালোবাসার নরম জ্বালে, আগুন কখন তামাটে
বন্যা-
অদূরের সংকেত কাল গিয়েছে থেমে, সবাই
বোঝে না
উল্টো শব্দের সংজ্ঞায়, সমাধি খুঁজতে মহল যখন
তাজ!
যৌনতা ছিঁড়েছিলো গাছের পাতা, আছড়ানো
ঝড়ের পাটায়!
পেশিতে ঝোলানো ডালে, বিধ্বস্ত ক্ষয়ের
কালসিটে দৌরাত্ম্যে;
সকাল সেদিন আরোও নগ্ন, বাতাসের হাতচিঠি ছিঁড়ে
ছিলো মগডালে!
তুমি জানতেও পারলে না গতরাতে, একটা
গোলাপ ছিলো তোমার প্রতীক্ষায়-
মাধুকরী
বোঝাতে পারিনি সেদিন,
গাছেরাও মায়া চায়-
দুটো বিকলাঙ্গ পা, অন্ধ চোখের বিনিময়ে;
একটা শেকলই যথেষ্ট, এক জীবনের নিরিখে-
মনের হাজারদুয়ারী অসংখ্য সেল নিয়ে বসে আছে,
মন্দিরের অনেক নীচে হাত পাতে ভগবান!
জল দানও, হারিয়ে ফেলে মহত্ত্ব!
বন্যার বানভাসি,
আগুনও হয়ে ওঠে মহীয়ান, খিদের উপত্যকায়;
তবুও পরিপূরকতা জেনেই তো চোখ মেলে থাকি,
বেলা বাড়লে ঠিক তুমি আসবে, আমিও
দু’হাত পেতে-
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন