ফেরদৌস সাজে দীনের অর্কিড
পুরু-মসৃণ, প্রেমার্ত সবুজ। শ্বেতাঙ্গ যুবতীর
লোমশ কুকুরের আদুরে জিহ্বা ঝুলে আছে দুইদিকে
মাঝখানে লৌহ শলাকার সাথে
নীল ক্লিপে আটকানো যমজ অর্কিড-কান্ড
তিনটি প্রকাণ্ড চুমুপ্রবণ ফুল
পিঙ্ক, গভীরে প্রগাঢ়।
হাস্যোজ্জ্বল লেখক, ফেরদৌস সাজে দীন
মাটিভরা মৃৎপাত্রের নিচে তার শুভ্র আস্তিন
দুলছে শিল্প-বিকেল, হলিসউডে
কলম্বাসের দেশে ফুলের আয়ু ক'দিন বেশিই
আরো ক'দিন বাড়তি, যেহেতু অর্কিড, বিদেশি।
শীত এসে তুলে নিয়ে গেছে কিশোরীর ঠোঁট
ঝুলে আছে সারমেয় জিহ্বা দু’খানা, নিস্প্রভ
গৃহ-সৌন্দর্যে কিছুটা চোট, কিছুটা তার চোখের গভীরে
তবু সে জল ঢালে সুদৃশ্য পেয়ালা থেকে
অর্কিড-শব-শুকনোশেকড়ে, যদি ডাল ফাটে ফের...
মেঘের আকাশ তো চিরকালের নয়
একদিন ডাল ফেটে তারা ফোটে
ফোটে তার স্বপ্নাচ্ছন্ন চোখে,
মেঘের আকাশে ওঠে চাঁদ, হাসে কিশোরীর ঠোঁট
গুচ্ছ গুচ্ছ রক্তিম...
এবং ঠিক ঠিক একদিন ঘটনাটি ঘটে যায়
মেঘের আকাশ তো চিরকালের নয়।
বায়োলজি
টানে, আমারে টানিয়া লয়, দূরের
বায়োলজি
ছিলো না আলাপ-দেখা, তবু তাঁর
দেখা মেলে রোজই।
অথচ যাহার সাথে সামাজিক এ-রসায়ন
হাড়ি ও গৃহ খেলা; গোপনে ঘটিতেছে
নিবিড় পরাগায়ন
সে শুধু দূরে থাকে, সে দূরে
রহিয়াছে...
দূরের বায়োলজি, পায়েরই পদছায়া,
থাকে সে কাছে কাছে।
কবিতাটির স্ক্রু ঢিলা আছে
তাঁর আজকের কবিতার কয়েকটি স্ক্রু ঢিলা আছে
কবিতাটি তাই নড়বড় করছে।
তথ্যটি আগে-ভাগেই জানিয়ে রাখলাম, যাতে
কোনো দূর্ঘটনা না ঘটে;
কেউ যেন আবার ওতে বসে না পড়েন,
তাহলে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়তে পারে।
স্ক্রুগুলো ঢিলে থাকার দায় অবশ্য অনেকটাই আমার
কেননা তার ধীরগতি দেখে
আমি আর ধৈর্য্য রাখতে পারিনি
স্ক্রু ড্রাইভারটি ফেরত নিয়ে নিয়েছি,
ওটা তখন
আমারও খুব দরকার ছিল যে...
অবশ্য পরে আমি
তাঁকে আবারও ধার দিতে পারতাম, দিইনি...
তিনিও অভিমান করে আর নিতে আসেননি।
আপনারা শুধু একটু সাবধান থাকবেন,
বিশেষ করে তরুণ কবিরা; দূর থেকে দেখুন, ক্ষতি নেই,
কিন্তু ওতে বসে পড়বেন না যেন,
তাহলেই ধপাস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন