কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায়

ডি মেজর

আমার ডি মেজর ফুরিয়ে আসছে। আমার কুসুমে, ডিমে জ্বর এসেছে। জ্বরে এই দেশ অরণ্য গৃহকোণ এ কোণে সে কোণে যাওয়ার মেঝে মেঝেয় ফেলা পা পায়ের জন্য লাথি সেও তো পায়েই রাখা।বেডকভারের প্রান্তথেকেযখন তখন বেরিয়ে আসবে পাগলা হাতির দঙ্গল’-এর মতো লাথিও কখন বেরিয়ে আসবে পায়ের প্রান্ত থেকে, বেরিয়ে আসবে একা নাকি দঙ্গল বেঁধে, আমি তো দূর, পা তা নিজেও জানে না।

গায়ের হাওয়ায় ঝুলে আছে এ ঘর। এ ঘরের কোনো কোণ আমি কেন দেখতে পাই না –

বাড়ির পাশে রাস্তা - রাস্তায় ফেরিওলা - ফেরিওলার পা রাস্তায় পড়ছে - ও হাঁকছে - ডি মেজরে হাঁকছে পাড়ায় কেউ ডি মেজর জানে না - ফেরিওলা ডি মেজর জানে না - তবু ডি মেজর থাকে, সঙ্গে থাকে। সঙ্গে থাকা মানে কি? কোকিলের সঙ্গে যেমন কুহু থাকেসেরকম থাকা?

বৃষ্টির মতো এ ঘরের মেঝে ঝরছে। দেওয়ালের গলা অবধি মেঝে। দেওয়ালও তো  মেঝে। একজন শুয়ে। একজন দাঁড়িয়ে। সবসময় ওরা মিলনরত অবস্থায় থাকেসবসময় ওরা চুমু খেয়ে থাকে। মেঝে চুমু খায় দেয়ালের পায়ে। ওরা চুমু খায়  বলে এ ঘর থাকে। দাঁড়িয়ে থাকে। ঘরে আমি থাকি। ঘরে তুমি আসো। স্বপ্ন দেখি ঝগড়া করি ভাব হয় রান্না হয় ঝোলে লবণ বেশি হয়ে যায়সব যুদ্ধ সব প্রেম মেঝের ওপরে দেয়ালের পাশে।

ঘরের বাইরেও ঘরগাছের দেওয়াল, মাটির মেঝে। সবাই সবাইকে প্রাণপণে ছুঁয়ে আছে। রান নিতে মরিয়া দৌড়ে যেভাবে ব্যাটসম্যান ঝাঁপিয়ে স্টাম্প ছুঁয়ে থাকে।
পুরনো চশমার পাওয়ারে ফেলে আসা দৃষ্টি জামায় লেগে থাকা হলুদ দাগের মতো তার কাচে লেগে থাকা দৃশ্য তারা কি এখনও কথা বলে সেদিন কী দেখেছিল দেখেছিল যেন জল অন্তঃসত্ত্বা তাই তার পেট তাই তার ঢেউ।
চশমার ভাষা আমি জানি নাদেওয়ালের ভাষামেঝের ভাষা পায়ের ভাষা। জানি না। ডি মেজর জানি। সেই সুরে কোনও কথা এসে বসলে আমি দেখতে পাই তারে এসে বসেছে লেজ ঝোলা ফিঙে।

ফিঙের ভাষা আমি জানি না।




1 কমেন্টস্: