কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০১৫

ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী

বাসন্তী


নির্জনতা এক পা তুলে
      দাঁড়িয়ে আছে – দৌড়াবে বলে। 
এক সমাজ আরেক সমাজকে  
      বলছে – এখানে দ্রাঘিমা।
তার মাঝে ঘটে যাচ্ছে
      নিত্য কলহের প্রেক্ষাপটে
পরিবর্তনীয় অপরিবর্তনের ছবি।
       তারিখের মতো প্রেম, বিদ্যার  
            ফারাক আর বিদ্যমান নয়।

উচ্ছ্বাস আর অধিকার বোধের
দীর্ঘ টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে ঘটে গেল বাসন্তী।
এরকম অনেক বাসন্তী আসবে,
এক পরিণত ভালোবাসা
আটকে দেবে, অপরিণত ভালোবাসাকে।

শুধু জানা যাবে না
শ্রমের কোন ভাগটা মেকি উচ্চ স্তরের
যা ইচ্ছাকৃত ভাবে বোধগম্য হবে না।


কপোত


যেটুকু এখানে রাখে কবিতা
       সকালে উজ্জ্বল পাখি হয়ে যাওয়ার।
কপোত; অন্য কেউ নয়
এত অসহায়, নিরুত্তাপ, রোজকার
এভাবে মৃত্যুতে খুশি
      তোমার সাড়ে নটার ঘুমে
                প্রতিবার স্থানান্তরিত।
তবু হেন ফিরে আসা মৃত্যু
আমি রোজ পুষে রাখি
           কত অলীক উচ্ছ্বাস স্বপ্ন।


মা


তুমি বললে ‘মা’
এখন তোমার বইয়ে।
মেনে নিয়েছিলাম
যতদিন না ব্যাঙ লাফ দিল কুয়োর বাইরে।
তখন বলল ‘এমা’,
এ কেমন মা?
যার শরীরে ধারে বসিয়ে দিলে লোহার ব্যারিকেড,
আর দৃপ্ত কণ্ঠে, গর্বিত কণ্ঠে বললে,
‘বন্দী, তোমায় মা’।

ভেবে দেখ প্রথমে ছিল না
ট্রফিতে মা,
কাটনি বিভিন্ন অংশ।
ভাইকে ও তোমাকে
ছেলে ভুলোনো অংশ দিয়ে বলল,
‘খেলা কর খোকা, এটা তোমার মা’।
তুমিও খোকা ভীষণ বোকা
কেটে যাওয়া স্তন তুলে বললে,
‘আমার মা, আমার মা, আর কারোর মা নয়’


অতএব


এখানে সব ঠিকানা ফেলে রাখা আছে
আর কোথাও আকাশ হয়তো বা ডুবে গেছে
যেখানে নীল, ঠক করে শব্দ হয়,
সেখানে প্রকৃত সারস সন্ধানী ফেরে না।
অতএব হে মৃত্যু কত কতবার এসেছ,
                    পার্শ্ব চরিত্রে।







0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন