যে চিঠি অতি-শূন্যতাকে পড়তে
(১)
তো একটা প্লট
খুঁজছিলাম। সফেন, উম্দা কিসিমের প্লট।
গ্যালাক্সিগুলোর মধ্যে
দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ভয়েডের মধ্যে দাঁড়ালাম। গ্যালাক্সিরা নানা জামাকাপড় পড়ে, কত্তো
রঙের! শাড়ি, জিনস, কুর্তা, কামিজ, চপ্পল, ঝোলা, ট্রাউজার থেকে সিগারেটের ধোঁয়া
উড়ছিল, ব্যাকগ্রাউন্ডে ধোঁয়াহীন ম্যাজিকাল খাবার-দাবার। খেলে স্বাস্থ্য ভাঙবেই -
পকেটের, মনের অথবা শরীরের। ধোঁয়াহীন যে কোনো কিছুই খুব সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত। কেন না
আগুন এর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে। ভয়েড এই আগুনের মতো গ্যালাক্সিগুলোর মধ্যে মধ্যে আচমকা চরের জাগা জাগে। মহাবিশ্বের ফিলামেন্টগুলোর,
সহজ করে বললে, অনেক গ্যালাক্সি সমন্বয়ের যে
গঠন তার মধ্যে মধ্যে ভয়েড। গ্যালাক্সিগুলো পরস্পরের সঙ্গে গ্র্যাভিটেশনের টানে
টানা আছে, টানা দেওয়া সুতোর মতো বুনে আছে এবং হঠ করে একটা শূন্যতা লাফিয়ে উঠে দাঁড়াবে, সেখানে
কিছু নেই-এর সভা। সেই নেই-এর সভাতে দাঁড়িয়ে গেলাম।
বইমেলায় চার নাম্বার
গেটের দিকে যেতে আচমকা একটা বাঁক আছে, তার আগে। ওদিকে জমজমাট। এদিকে
সিমেন্ট পায়ের নিচ দিয়ে সরে
গিয়ে মেলার টিনের দেওয়াল পেরিয়ে হাই-রাইজ। হোটেল, খবরের
কাগজের অফিস, স্পা, বিউটি-পার্লার,
কর্পোরেট অফিস, ফিটনেস সেন্টার, পাব সব সিমেন্ট দিয়ে ভর্তি। আমি হাতটা দিয়ে হাতড়াতে চাইছিলাম পকেট,
হাতটাকেও সিমেন্ট গেঁথে নিয়েছে এমন ভারী। হাত কি ক্লান্ত? হাত কি সিস্টেমের সিমেন্ট দিয়ে গাঁথা? হাত কি কেনা
হয়ে গেছে? ঠিক এইখানে একটা ভয় জেগে উঠল! আমি তো একলা। দলে
নেই, কোন্দলে নেই। তবে কি হাতও আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে?
হ্যাঁ, হাত কিছু ছেড়ে চলে গিয়েছে! হ্যাঁ,
যখন ঘাড়ের নিচে কিছু দিয়ে
শোবার চেষ্টা করি তার আগে অব্দি প্রাণপণ কিছু উষ্ণ চিঠির ইচ্ছে দলা পাকিয়ে থুতু হয়ে
থাকে। চিঠি আসে না, গিলে নিই থুতু। নিজের অঙ্গ হয়ে যায় গিলে নেওয়া।
তবু হাত এ ভাবে ছেড়ে গেলে কাজলদার জন্য উপন্যাস লিখব কি করে?
উপন্যাস যে লিখব তার
জন্য একটা গল্প চাই তো! একটা জাঙ্গিয়া পড়ব প্রথমে, তারপরে তো প্যান্ট।
প্রথমে প্লট, তারপরে সাব-প্লট। নইলে চেন
তুলতে গেলে নুঙ্কু আটকে যাবে এবং খুব কষ্টের সে চামড়া টানাটানি। তো একটা প্লট, এভাবেই...!
তিতির এসেছিল। হাওয়া-মোরগের
ভুলে আমার দিকে এসেছে খানিক সরে। গত পাঁচ বছর তিতিরকে
আমি খুঁজিনি,
তিতির নাকি খুঁজেছিল। ফোন নাম্বার হারিয়ে ফেলেছিল। আমার আর তিতিরের
মধ্যে কোনো সেতু ছিল না, নাম্বার
সেখানে খোদাই পাবার সম্ভাবনা ছিল না। অন্ধকার নদীর ধারে
দুজনে একবার দাঁড়িয়ে ছিলাম। তিতির আলো হতে চাইছিল। আমি তো অন্ধকার। তিতিরের কানের
দুলটা বেয়াড়া রকম সোনালি। পাশের রাস্তা দিয়ে ট্রাকগুলো আলো খেলতে খেলতে চলে
যাচ্ছিল। চলে গেলেই অন্ধকার ঝাঁপিয়ে এসে ভরে দিচ্ছিল চারপাশ আবার। তার মধ্যে
তিতিরের দুল ঝিকিয়ে উঠছিল। আমার গানের তেষ্টা পেল। খুব, ভয়াল
তেষ্টা। যত আমি সরে যাচ্ছি বিতস্তার থেকে তত গানের তেষ্টাটা বাড়ছে। একেকদিন এমনও
হয় মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়। ছোট্ট বেঞ্চের উপর উঠে বসে শূন্য সিলিং-এর দিকে তাকিয়ে
একটা গান খুঁজি। যুতসই রকমের একটা গান। কখনো কখনো চলেও আসে। সেদিনই হয়েছিল। তাকিয়ে
থাকতে থাকতে দেখলাম একটা গান নেমে আসছে। কোমল করে এসে বসলো আমার বেঞ্চে। ঠোঁটটা
দিয়ে আলতো করে আমার ঠোঁট ছুঁলো এবং আমি বেজে উঠলাম। শুনতে পাচ্ছিলাম আমি বাজছি,
'পরের জাগা পরের জমিন ঘর বানাইয়া আমি রই'! বাজতে
বাজতে শরীরটা শূন্যে উঠে গেল। সিলিং-এর কাছাকাছি এসে দেখলাম, হাত-পা সব মাটিতে পড়ে আছে। আমার মাথাটা মাটি লাগানো দূর্গার মাথার মতো আলাদা করে শূন্যদন্ডের উপর দুলছে। হাত-পাগুলো সারে সারে অনেক অজস্র হাত-পা'র
ভীড়ের মধ্যে পড়ে আছে। ওরা যে আমার তা বোঝার কোনো উপায় নেই। বাকী দেহটা ঢেউ তুলতে তুলতে কেমন জল হয়ে গেল। আমি মহাস্থবিরকে বললাম,
- সন্তাপ কি গাছতলাতে নেই?
মহাস্থবির সৌম্য চোখ
দু’খানি তুলে বললেন,
- তিতিরের
দুলে গান ছিল?
- ছিল না!
- তাহলে গাইলে কেন?
- তখন আমার খুন করতে ইচ্ছে
করছিল।
- বিতস্তার নথে?
- এখানে আমি বলতে পারতাম আমার
ভেতর অন্ধকার আছে নাথ, আমাকে আলো দাও! বলব না! অন্ধকার বেশ
প্রিয় আমার।
- অন্ধকার পরম সত্য!
- বাড়ি ছেড়ে, বৌ ছেড়ে, সন্তান ছেড়ে যখন এলেন ভেবেছিলেন রাজার
ব্যাটা না হলে ওদের কে খাওয়াতো?
স্মিত হাসলেন। বললেন,
- সেই জন্যেই তো ছেড়ে এসেছি।
জানি ওদের খাওয়া-দাওয়ার অভাব হবে না। সংসারে অভাব থাকলে আসতাম না। পালিয়ে যাওয়া হতো যে!
- ইতিহাসে নেই তো। সব ধুয়ে মুছে
সাফ। এ সব ভক্ত-শিষ্যদের দিয়ে লেখালেন না কেন?
- ওদের তো বলেছি মধ্যপন্থা নিতে।
সংসার ছাড়তে তো বলিনি।
- আর ওই যে ওরা সব কালো কালো
অভুক্ত এসে দাঁড়ালো সঙ্ঘে, তারা? সবাই মোক্ষ পেতে এসেছিল?
- বড়ে বড়ে কামো মে ছোটে ছোটে ইধার-উধার
হোতেই রহতে হ্যাঁয়!
শাহ্রুখ খান জানালার পাশের বিজ্ঞাপন থেকে বলেই এ কথা বিশ্রী মোরগের মতো কক্-কক্ করে হাসতে
লাগলেন।
- হুঁ? আর
বৌটা যৌবনজ্বালা নিয়ে একলা প্রাসাদে শুধু আত্মরতি? কটি
ছেলেমেয়ে তোমার? দেখিয়াছ সেমত জীবন-যৈবন?
বিজ্ঞাপন চুপ।
- সেই জন্যে তো বিতস্তার শরীর
শরীর চায়।
স্থবির মৃদুভাষে!
- আমি কি মরে গিয়েছি আর্য?
আমার পাশে কি শরীরের অভাব রয়েছে?
- মন?
- মন দেব হরিপাদপদ্মে আর রাত্রে
লাগাবো মোহান্তর সঙ্গে?
গান ভেঙে টুকরো টুকরো
হয়ে পড়তে থাকল। সিলিং থেকে নামতে নামতে আমি বিছানার মধ্যে একটা গর্ত পেলাম। অসংখ্য
সাপ কিলবিল করছে। আমার হাত-পা চিহ্নিত শরীরে সর্বাঙ্গ জুড়ে তারা খেলে বেড়াচ্ছে।
তিতিরের দুলকে হালকা গানের হাওয়া দিয়ে আমি ছুঁয়ে দিয়েছি মাত্র। প্রতিটি শ্বাসাঘাত দিয়ে
কানের লতিতে আদর বুলিয়েছি। তিতিরের মুখ দেখা যাচ্ছিল না। আমি ওকে আদর করছিলাম না।
আমি বিতস্তাকে আদর করছিলাম না। নারীগুণে পুষ্ট যে কোনো একটা শরীরকেও আমি আদর করিনি। একটি নারীর পরম অপেক্ষায় গাছতলায়
বসেছিলাম,
যে পায়েস নিয়ে আসবে, যত্নে খাওয়াবে, আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি বলে।
অথবা অন্ধকারকে দেহ
দিচ্ছিলাম। আমি পুরুষ এবং নারীতেই আসক্তি রাখি। অন্ধকারকে একটি নারী শরীর দেব বলে
মন খুঁজছিলাম। বইমেলার ভয়েডের মধ্যে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম হাতের পাতাটা উলটে।
হাতটা তুলতে পারছি এখন। ভেতরে যে ক্রোধ জন্মেছে আবার। স্থবিরতা কেটে গিয়েছে।
সিমেন্ট এখন পায়ের নিচে কোল থেকে নামানো শিশুর মতো তাকিয়ে, আবার কখন কোলে নেব সেই অপেক্ষায়। ঠোঁট ফুলিয়ে আছে সিস্টেম।
হাতের পাতায় একটা কাটা
দাগ আছে আমার। মন দিয়ে দেখছিলাম। খেয়াল করিনি কখন সুনীল আমার কাছে এসে দাঁড়িয়েছে।
সুনীল পটুয়া। মেদিনীপুর থেকে আসে প্রত্যেকবার। বহু বছর দেখছি। চেনাচিনি হয়েছে একরকম। সুনীলও হাতের পাতাটা মেলল আমার
সমান্তরালে। সুনীলের হাত আমার চেয়ে কিছুটা বেশি কালো। কম মিশ্রণ রঙে। ভাঙা ভাঙা গলায় বলল,
- মহারাজ মারা গেলেন।
ঘৃত-চন্দনাদি দিয়ে মাখানো দেহটা রাখা। কাছে গেলেই বদগন্ধ তবু। আমি পরে খবর পেয়েছিলাম। উজ্জ্বয়িনী থেকে অনেকটা রাস্তা আসতে হত!
(২)
- তারপর?
- তারপর তো যুদ্ধ শুরু হলো! আমি হাতিতে চড়ে এসেছিলাম।
সুনীলের চোখদুটোতে
অহঙ্কারের পট আঁকা আছে। বাবুরা নতুন স্টাইলের পট কিনতে এলে সটান বলে দেয়,
- যেমন পট তেমনি নিবে তো নিন,
অন্যি হলে অন্যিখেনে!
অন্যখানের রঙ, রুচি,
ঢঙ সব আলাদা। অন্যখান বলতে স্থানাঙ্ক বোঝাতে পারতো, যদি সুনীলের পায়ের নিচ থেকে জমি
উঠে গিয়ে খানিক বাদে হাঁ-এ মিলিয়ে যেত, যেখান থেকে ঢালু নেমে গেছে লাল থেকে কালচের
পরিসরে; এ সব দূরত্বের
জন্য যদিও। সুনীলের
নকশিলী মাটির পিঞ্জরের থেকে দূরে কিছু আরো আরো খাঁচা ক'টি। এ
অন্যখান আদতে সুনীলের স্থানাঙ্ক না, মানাঙ্ক। প্রাচীন ধারাটি
রেখে কাজ করে সুনীল। এখন যে তাঁবু খাটানো বাবু বিবিরা আসেন, তাঁদের
ও তাঁরা থেকে শ্বেত চর্মের যাঁরা তাঁদের তাঁদের কারুবাসনা বিক্রি রাঁঢ়পনা সুনীল
করে না। বইমেলাতে বছরের পর বছর এলেও তাকে নিয়ে কাগজের স্টোরি হয় না, তার পট নিয়ে বই তো দূরস্থান। সুনীল বহুদূর থেকে জিঘাংসা নিয়ে হাতি চড়ে
আসে।
- পিতা মহারাজ সুসীমকে রাজা করে
যেতে চেয়েছিলেন। অথচ আমিই সব চাইতে দক্ষ
যোদ্ধা ছিলাম। মহামতি চাণক্যের বিদ্রোহ দমনেও আমাকে পাঠাতে হয়েছিল।
- চাণক্যের বিদ্রোহ? মহামন্ত্রী চাণক্যের বি-
- কৌটিল্য, যিনি হতেও পারেন বা নাও হতে পারেন!
- কবে?
- মহারাজ চন্দ্রগুপ্ত যখন পিতাকে
রাজ্য ছেড়ে চলে গেলেন জৈন সাধুদের আবাসে বাণপ্রস্থে, তখনও
মহামন্ত্রী ছিলেন রাজদরবারে। মহারাজ বিন্দুসারের সিংহাসনারোহণ হলো,
অথচ কূটনীতির চালিকাশক্তি রয়ে গেল ওল্ড গার্ডের হাতে, এ হয় না।
- অসুবিধে হচ্ছিল?
- খুব। একে তো মহারাজ বিন্দুসার,
মহারাজ চন্দ্রগুপ্তের মতো কমিটেড লোক না, তার উপর বাইশ বছর বয়সেই রাজত্ব
পেয়ে গিয়েছেন। সে এক বিশাল রাজত্ব। নিজে তার সঙ্গে আরো যোগ করছেন। কিন্তু...
- কিন্তু?
- ওই একটা কিন্তু থেকে গেছিল। মহারাজ
চন্দ্রগুপ্ত পিতা মহারাজের উপর খুব ভরসা করতে পারতেন না। তাঁর ধারণা ছিল, পিতা মহারাজ ঠিক ততটা প্যাশনেট না। প্রেম থেকে যুদ্ধ, কিছুতেই
তাঁর আগ্রহ নেই।
- কেন?
- মনে হয় পিতা মহারাজ আজীবিকদের
সঙ্গে বেশি জড়িয়ে ছিলেন বলে।
- আজীবিক? আচ্ছা
আজীবিক কি সত্যিই নাম? এর মানে তো যে জীবিত!
- জানি না। বৌদ্ধ-জৈনরাই বেশি লিখেছে ওদের কথা। হতেও পারে, নাও হতে পারে। রাগের বশে লিখতে
পারে।
- তুমি যেমন রাগের বশে -
- না। রাজনৈতিক চাল। চালতেই হতো। পিতা মহারাজ ওদের অনেক দিয়েছেন। ওরা বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল।
- আচ্ছা এটা পরে শুনছি।
আজীবিকদের সঙ্গে জড়ানোতে কি হয়েছিল?
- তুমি কিন্তু বেশ সাংবাদিক
সাংবাদিক ভাব নিয়েছ।
- আপাতত উপন্যাস লিখছি!
- তিতলি?
নারী কন্ঠে বেজে উঠলো।
তাকিয়ে দেখলাম যুবতী পটুয়া। সুনীলের সংসার। সংসারে সুনীল।
একটা কার্ভেচার
শূন্যতার মধ্যে আঁকা হলো। তারপরে জমি
ভরাট করার মতো কালো রঙ দিয়ে আস্তে আস্তে
লেপে দিলে যুবতী ফুটে উঠবে। চাইনিজ ইঙ্ক হলে আউটলাইনটা স্পষ্ট হবে। তারপরে কালোর
মধ্যে কালো অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে আঁকতে আলোছায়া নিরূপম।
জঙ্গলে যেমন পরে। আলোছায়ার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে একদিন পাঁচজন আধা-সামরিক পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলে যুবতী থামাল। কালো, মাথায় দুটো হাঁড়ি, একটা আরেকটার উপর বসানো, শুকনো
কাঠের হালকা বান্ডিল ঝুলছে পিঠের দিকে, টাইম-স্পেস থিয়েটারে
এ হেন অভিনেত্রীকে সমাদর। যুবতী একা। যুবতী অসামরিক। যুবতী তখন কুরুক্ষেত্রে ম্লান
মাওবাদী।
আমি খবরের কাগজ
শুকোচ্ছিলাম,
সদ্য চা পড়েছিল। গলির মধ্যে দিয়ে এসে খবর সাইকেলে চেপে ফ্ল্যাটের
দরজায় হ্যাচবোল্টের আড়ে ঝুলতে থাকে। সেখান থেকে তাকে পেড়ে নিয়ে পেতে বসা চা-টেবিলে।
প্রথম পাতায় মাস্টহেডের নিচে মনমোহনের ছবিতে চা পড়ে সিপিয়া
টোন খাচ্ছিল। আমি, চা, মৃদু মনমোহন, গলি, খবর ও জঙ্গলের মধ্যে পাঁচজন আধা-সামরিক ও যুবতী
চু কিৎ কিৎ খেলছিল। তখন বলতে এখানে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা অসম্ভব। তখনটা যে কোনো সময়েই হতে পারে। তখন, ব্যাপারটা ভারতবর্ষে ব্ল্যাক-হোলের
মধ্যে ঢুকে গিয়েছে, কিছুই কিছুর থেকে আলাদা করা শক্ত। তখন
বললে তাই একটা ঢেউ খেলানো প্রান্তরের তুঙ্গদেশ, যা ভদ্র,
সুশীল, কিছুটা ন্যাড়া, শহর
শহর ভাবের, এমন কিছু ভাবলে নিরাপদ লাগে বা লাগতেও পারে।
আপাতত তিতলির মতো নিরাপদ চশমাকে নিচ্ছি। একটি ভাবের বিছানা পেতেছি, আলতো আদরে তিতলি
পাতবো।
(ক্রমশঃ)
Wow!....(dirghosyas!)
উত্তরমুছুন৬ পর্ব লেখা হয়েছে। তাই আবার প্রথম থেকে পড়ছি। আমার আবার অনলাইনে ধৈর্য কম তো- তাই অপেক্ষা পোষায় না। :P
উত্তরমুছুনধীরে লিখছি। এ লেখা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে আসে যে! :)
মুছুনশুরুয়াদ টা অসাধারণ লাগলো! সরি, লেট-এ পড়ার জন্য।
উত্তরমুছুননা, এই সরি শুদ্ধদা তোমায় বলিনি, নিজেকে বললাম।
একটা লেখা পাঠকের জন্য বিজনে বসে থাকে। প্রকাশিত হবে বলে। এলেই অনেক। :)
উত্তরমুছুনবেশ লাগলো কিন্তু। ইতিহাস-বর্তমান, আছে এবং নেই সব মিলিয়ে মিশিয়ে। ধীরে ধীরে বাকিটা পড়ব।
উত্তরমুছুনকোলাজের মত ! টুকরো টুকরো ছবি ! টুকরো টুকরো ভালো লাগা !
উত্তরমুছুন