ইকবাল রাশেদীন
বাড়ি ও তার বাসিন্দা
বাঁক ঘুরলেই বাড়িটা
আমি বাঁকের কাছাকাছি গিয়ে
বাড়িটার কার্নিসে চোখ পড়তেই
ঘুরে যাই সটান।
রাস্তার ধারের লতাগুল্ম, খড়-নাড়া
উড়ে যাওয়া পাখি, কচুরিপানা,
মেঘেদের ছায়া – কার্নিস ঘুরে
এলেবেলে এইসব দৃশ্যে আমার কর্ণিয়া।
একদিন ফিরে যাবার মুহূর্তে
বাড়িটি ভ্রুকুটি দিয়ে বলল-
আর কতদিন আমি চলে যাওয়া মানুষের
পিঠের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে
ছাড়ব দীর্ঘশ্বাস...
ছলচাতুরী
আজ সন্ধ্যা হলে চুপচাপ
হাঁটব কিছুক্ষণ - অন্ধকারে
রাস্তায় ঝাড়-লন্ঠনের আলো পেলে
দাঁড়িয়ে দেখে নেব লুকিয়ে নিজেকে
মন ভুলে তোমার দরজায় কড়া নাড়ি যদি
ও কপাট খুলে দিও সখি
আসলে সমস্ত বাহানা আমার
আজ সন্ধ্যায় তোমার অন্তরঙ্গ মেহমান হবো...
জীবনের গল্প -২
প্রতিদিন বাসায় ফেরার পথে
একটি গাছের দিকে তাকিয়ে
আমার মন ভালো হয়ে যায়।
গাছটির একটিও পাতা নেই
আমার হৃদয়ের মতোই হাহাকার সেখানে।
সবুজ পাতারা উড়ে গেছে বৈশাখী ঝড়ে।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন