কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

০৬) পৃথা রায়চৌধুরী



পৃথা রায়চৌধুরী

ন্যায্য বিধান

তোমার বাথটাবে শ্যাওলা লাটসাহেব
তোমার শখের বাগান অপরিষ্কার
তোমার পেটিভর্তি রূপোলী ঝনঝনের সুরে 
তন্দ্রা লেগেছে

আমার আপাতশৌখিন কাঁধের কড়াগুলো 
তোমার মনে হয় আক্রমণের ঢিল
গুলতি হয়ে যাই তোমার কাঠগড়ায়
অবমাননার দায়ে

ধর্মাবতার, এখনো দুপুরে একলা কোকিল শুনি
হুজুর, খিদে চেপে রাখতে শিখেছি নিজের রায়ে
মি. লর্ড, নিরপেক্ষতায় ভুগেছো কখনো?
নিজের হাতে হীনমন্যতা দাও...

কী ভালোবাসি, কাকে প্রেম, কেন ত্যাগের ভোগ
বুঝিয়ে বলতে পারিনি গো শাসক
এখন ক্ষুন্নিবৃত্তি বা স্বেচ্ছা অনশনের ভেতরে বুঝি
নিজেই শেষের শুরু বুঝিনি



কারণ  

সাইকেলটা বেশ অহংকারী, একদিকে ঘাড় কাত
সাইড স্ট্যান্ড শক্ত, না হলে দেওয়াল ভরসা
নির্লজ্জ নারসিসাস তবু সুর ভাঁজে

ষোড়শী হাফ প্যাডেলে মোরাম গলি
লাল ওড়না সামাল সামাল খিড়কি দুয়োর
আছাড় খেলে ক্ষত না রে- 
তড়িঘড়ি আব্রু সামাল

ফুল প্যাডেলে দিক ভুলভাল নো কন্ট্রোল 
কখন যেন বালির গাদা, খোয়ার ঢিবি
কাদা চাকায় ফর্সা ফর্সা বৃদ্ধ ধুতির জ্বলন্ত চোখ... 
বেয়াদব মেয়ে!

গল্পগাছা ওড়ে, এপাড়া ওপাড়া
শেখা শেষ, পরে কাজে এলে...
এবার ক্ষ্যামা... 
মোমবাতি সময় বিশেষে বেশি বিকোয়




বহতা                            

একটা গোটা সরকার বদলে গেল
কথায় কথায় শোনানোও হলো
সব প্রেম ভালোবাসা মেকি
তলে তলে জোট, 
ওপর ওপর দেখনদারি

ঘুমের মাঝে জায়গা দেওয়া শেষ কবেই
পলি সরিয়ে কোনোমতে বলে ওঠা,
জায়গা পড়ে আছে... ভিক্ষের পাত্র?

ঘাসের ওপর পিঠ দিয়ে তাকালেই 
মেঘবাড়ি আর জোয়ারবাড়ির তফাৎ নেই
শুধু নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া

নাভি বরাবর বিরক্তির স্বাদ মিলিয়ে যাবে
অনেক চাবুক মানেই অনেক কথা বলা 



0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন