কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ২৯ জুন, ২০১৪

১৪) মোহাম্মদ হোসাইন


ইঁদুর

সবুজ এসেছে লাস্যময়ী হয়ে
চুমুর দাগ বৃষ্টির ফোঁটায় ফোঁটায় সিক্তমান;
ছুঁয়ে দেখি নীলকান্ত মণি পসরা সাজিয়েছে।

আহা! চৈত্রের রাত কত জ্বর তুমি হৃদয়ে নামাও
তাঁত ঘরে বসে আছি, মাকু নিয়ে চলে গেছে চোর

সুলতারা

সুলতা বৃষ্টি এসে ঘুম ভেঙে দেয়
বৃন্ত থেকে ছিঁড়ে আনে অধরা কলি
তীব্র ক্ষতের দাগ মুখ টিপে হাসে।

দূরে ছিন্নপত্রের মতো ভেসে যায় শিশুকাল
জলপিপিদের কান্না আদিম উল্লাস ছড়ায়
গঙ্গা ফড়িংয়েরা সুবিস্তীর্ণ মিছিলের ডাঁই;
অলক্ষ্যে, কঠিন চীবর দানে নূয়ে আসে মাথা।

তুমি জানো - পৃথিবীর সব পথই শূন্যেতে ধাবমান
মৃত কংকালেরা তাই অহমের নুড়ি;  মূল্যহীন এ জীবন
ধুলো-বালি বুকে নিয়ে খুঁটে খায় ঘৃণার কস্তরীতবুও
সুলতারা গাই হরিণী - চিরদিন মুখরতা আনে।


মৃত কলসের মতো

মৃত কলসের মতো ভেসে যাই
পা দুখানি জড়িয়ে থাকে অতৃপ্ত শ্যাওলার সংশ্লেষে;
সহসা মোহনা থেকে ওঠে আসে ক্ষুধামান্দ্য চাঁদ রাতের
কাবাব হাতে। হয়তো কোনোদিন সখ্যতা ছিল, সতরঞ্জিতে ছিল
ঘাম ঝরানো দিন। সেই ঘ্রাণ আজও আলাভোলা বাঁশরির মতো বাজে।
পরগনা থেকে নাইওরিরা যায়, অস্বচ্ছ আলোয় কেঁপে ওঠে সেই ছায়া
জলের শব্দের সাথে তার কোনো প্রত্যয় মেলে না। আমার রাধাচূড়া মন
কতবার উড়ে গেছে বনে সিঁধ কেটে গহিন আঁধারে; অজানা ঠিকানাকে
মাস্তুল ভেবে ঝাঁপ দিয়েছে হয়তো সেই ঝাঁপ আজ কালিক সন্ধ্যা চিনেছে...






0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন