দাগস্মৃতি
চঞ্চল দৃষ্টির আর্তিতে জন্মানো
গলে পড়া সূর্যালোকের ছায়ায়
ছোপ ছোপ সাদা মেঘের বাঁকে বাঁকে
কত শত মুখের আদল
আর বলে যায় চুপিসারে
নতুন ভোরের ডানায় নতুন আলোর স্বপ্ন।
তবুও সভ্যতার বেদিতে কাচপোকা হয়ে জ্যোৎস্না ভেজে
মৌনতায় নিথর --
প্রেমালাপের পরিণাম চায় হৃদপিন্ডের অলিন্দ, নিলয়
চেতনার জাগরণ চিৎকার করে বলে --
মাতৃজঠর ভিন্ন হলেও শরীরের খোলসে
আতুরের গন্ধ এক;
মাসকাবারী জীবনে আর্থিক লাভ ক্ষতির
হিসাব ভুলিয়ে দেয় আত্মঅন্তরঙ্গতার জৌলুস
রচে যায় নীরবতার মাঝে সহজ সূর্যাস্তের পরিমাপ
যা বিচলিত করে না মুহূর্ত --
চরাচর ক্লান্তি মোছে ঘুমে
সেই সময় শান্তি সন্ধানে
বাশে ঘষে রেখে যায় তেলের দাগ
দাগস্মৃতির বাহক অদ্বিতীয় হয়ে রয়ে যায় একাকী।
আমার সৃষ্টি
রাতপাখি ঘুরে বেড়ায় ঘুমপাড়ানী শিসে --
আমি তখন লিখতে বসি দিনলিপির কড়চা
করবীফুলের গন্ধ লাগানো নেশা
ভুলিয়ে দেয় রক্তবিহীন আঙুল ধরা কলম
তৃষ্ণা তখন সৃষ্টি সুখের শৌখিনতায়
শব্দ এখন শিল্পের জগতে শব্দহারা অভিধান
আমার সঙ্কুচিত পদশব্দ ঘড়ির কাঁটায় বন্দি
মাথার ওপর ঘূর্ণায়মান পাখা উড়ায় অদৃশ্য ধূলি
তার থেকে বাছাই করি প্রতীকি ধূলিকণা।
বাইরে লেজগুটিয়ে অলস কুকুরের
অস্থির পাহাড়ায় অহেতুক ডাক
আর তখনই সন্তর্পণে আঁচলপাতি অন্ধকারের রূপে
একখানি তারা খসার প্রার্থনায়
যেন আমার সৃষ্টি হয়ে ওঠে বিলুপ্তিহীন!
ইতিকথা
বুকের ভেতর শর্তভঙ্গের ভয়
ফুসফুসের জেগে ওঠা রক্তস্রোত
অম্লান চেতনার উপত্যকায় দাঁড়ানো
নীরবতার গভীরে থাকা সুদীর্ঘ প্রবণতা,
জাগিয়ে তোলে বিষণ্নতার আড়ালে মায়াবী সারস
পারিজাতের গন্ধমাখা শরীরে --
শুঁয়োপোকা ও প্রজাপতির রঙ বদলের মিছিল,
রাজনীতির খেলাঘরে সাদার কোণে লালের সোঁদা ভাপ!
বোরখার আড়ালে কি অমোঘ সংবাদ?
আধ্যাত্মিকতার পবিত্রছায়ায় জন্মভূমি --
সুদূর সুড়ঙ্গের অন্ধকারে তবে কি ঝাপসা হবে!
চঞ্চল দৃষ্টির আর্তিতে জন্মানো
গলে পড়া সূর্যালোকের ছায়ায়
ছোপ ছোপ সাদা মেঘের বাঁকে বাঁকে
কত শত মুখের আদল
আর বলে যায় চুপিসারে
নতুন ভোরের ডানায় নতুন আলোর স্বপ্ন।
তবুও সভ্যতার বেদিতে কাচপোকা হয়ে জ্যোৎস্না ভেজে
মৌনতায় নিথর --
প্রেমালাপের পরিণাম চায় হৃদপিন্ডের অলিন্দ, নিলয়
চেতনার জাগরণ চিৎকার করে বলে --
মাতৃজঠর ভিন্ন হলেও শরীরের খোলসে
আতুরের গন্ধ এক;
মাসকাবারী জীবনে আর্থিক লাভ ক্ষতির
হিসাব ভুলিয়ে দেয় আত্মঅন্তরঙ্গতার জৌলুস
রচে যায় নীরবতার মাঝে সহজ সূর্যাস্তের পরিমাপ
যা বিচলিত করে না মুহূর্ত --
চরাচর ক্লান্তি মোছে ঘুমে
সেই সময় শান্তি সন্ধানে
বাশে ঘষে রেখে যায় তেলের দাগ
দাগস্মৃতির বাহক অদ্বিতীয় হয়ে রয়ে যায় একাকী।
আমার সৃষ্টি
রাতপাখি ঘুরে বেড়ায় ঘুমপাড়ানী শিসে --
আমি তখন লিখতে বসি দিনলিপির কড়চা
করবীফুলের গন্ধ লাগানো নেশা
ভুলিয়ে দেয় রক্তবিহীন আঙুল ধরা কলম
তৃষ্ণা তখন সৃষ্টি সুখের শৌখিনতায়
শব্দ এখন শিল্পের জগতে শব্দহারা অভিধান
আমার সঙ্কুচিত পদশব্দ ঘড়ির কাঁটায় বন্দি
মাথার ওপর ঘূর্ণায়মান পাখা উড়ায় অদৃশ্য ধূলি
তার থেকে বাছাই করি প্রতীকি ধূলিকণা।
বাইরে লেজগুটিয়ে অলস কুকুরের
অস্থির পাহাড়ায় অহেতুক ডাক
আর তখনই সন্তর্পণে আঁচলপাতি অন্ধকারের রূপে
একখানি তারা খসার প্রার্থনায়
যেন আমার সৃষ্টি হয়ে ওঠে বিলুপ্তিহীন!
ইতিকথা
বুকের ভেতর শর্তভঙ্গের ভয়
ফুসফুসের জেগে ওঠা রক্তস্রোত
অম্লান চেতনার উপত্যকায় দাঁড়ানো
নীরবতার গভীরে থাকা সুদীর্ঘ প্রবণতা,
জাগিয়ে তোলে বিষণ্নতার আড়ালে মায়াবী সারস
পারিজাতের গন্ধমাখা শরীরে --
শুঁয়োপোকা ও প্রজাপতির রঙ বদলের মিছিল,
রাজনীতির খেলাঘরে সাদার কোণে লালের সোঁদা ভাপ!
বোরখার আড়ালে কি অমোঘ সংবাদ?
আধ্যাত্মিকতার পবিত্রছায়ায় জন্মভূমি --
সুদূর সুড়ঙ্গের অন্ধকারে তবে কি ঝাপসা হবে!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন