শীষ
এখন একটা ছোট্টো শীষ দেব
পাখিরা নিশ্চল এসে বসবে আঙ্গুলপ্রান্তে
গোলারঙের বারুদ উঠবে পশ্চিমামেঘ ঘেঁষে
এমনকি বাড়ির বাগান ঘিরে জঙ্গলদেশ
ভূগোল শুনবো ভেদ হতে থাকবে
গাছেদের জন্মরহস্য
সমুদ্রায়ন
জাহাজিয়া গল্পে জমে থাকা সমস্ত আঁশবাতাস
ঠিক মতো ধরতে গেলে ছুঁয়ে যাবে জহরদের করিকাঠবাড়ি
আমাদের পাড়া দিয়ে কখন বয়ে গেছে পানামা প্রণালী
ওই যে চৌক-ত্রিভুজ লাল-নীল জলযানে দস্যু যাত্রীরা
খুলিহাড়ের পত পত পতাকারা
আরও হাতছানি থাকে নটিলাস ও কলম্বাসের কম্পাসে
সামুদ্রিক বৃষ্টির মাঝে ঝিনুকেরা উঠে আসে রিক্সার পা-দানি
বারান্দার অপরাজিতার টবে
নোনাজলে দৈনিক ভাসছে সকালের থৈ থৈ জলে
ডুবো পাহাড়ের মতো জেগে পরেশ টি-স্টল
ডুবে গেছে সমস্ত ওয়ার্ডভিত্তিক মানচিত্রায়ন
আমি নেমে পড়ি দিগন্তজলে
শহরের নাব্যতা মাপতে
নিমচিত্র
(১)
পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি সিনেমারা কেমন বাক্স হয়ে
চাকা হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ...
আর আমি মাঝখানে ঝুলে আছি
ঠিক নবীন নয় এরকম পরিচয়পত্র গলায় ঝুলছে
(২)
এখানে কফিগন্ধ নিয়ে সন্ধ্যা নামছে
জাগলারির সীমারেখা বেয়ে মৃদু সরঞ্জাম রেখে
উঠে গেছে আজকের পসার
‘আমি ভালো নেই’ বলে অচেতন মুঠোফোন
...বলার এখানে শেষ হলো না কিছুতেই
(৩)
আত্মবাদী পোস্টারে ছেয়ে গেছে শহর
বাড়িঘর দোকানপাট ঢাকা পড়েছে
খুলে গেছে অলিগলি
চোলাই বারান্দা
দলছুট আলোক বিজ্ঞানে চৈত্র সেলের রকমারি
...প্রলুব্ধ প্রতিবেদন
(৪)
মুহূর্তের উৎসবে মেতে উঠেছিলাম আমি কী অসীম স্পর্ধা
মোটেই এ জগৎ জোড়া আয়োজনে আমার কিছু আসে যায় না
চুলোয় যাক ইট কাঠ টিনের কাঠামো নির্ভর পৃথিবীবুদবুদ
আমি কিছুতেই নিস্বর্গ আঁকতে পারি না
নদীর যখন নাম নেই
(১)
আহা! কী অনাবিল গমন তোমাতে
অনামিকা
স্তরে স্তরে কণায় কণায় তুমিই মধুছন্দা
আমার তাতেই বা কী এলোমেলো হলো
অশ্বহীন শয়ন যাত্রায় বিছানার এপ্রান্তে উঁকি
ভৌতিক আসবাব – নড়াচড়া
কেমন মসৃণ শিখাহীন আলোর শরীর
অন্ধকারেও সবজ়ে জেগে আছ
বিস্ময়ের মানবী চিহ্ন মেলে...
আমি যে আমাতে লুকিয়ে ফেলেছি যাবতীয় কৃপণতা
আমি যে আমাতে লুকিয়ে ফেলেছি সুপ্তগামিতা
ওহো, কেমন ভুলেছি দেখো এও নিয়মিত
লোভে লোভে আঁচড় কেটেছি যত্নলালিত ক্ষত
(২)
ওভাবে লোভী করে তুলো না আমায়
বেহায়ার মতো জড় করে ফেলব সমস্ত দেহজ শ্রম
বাদ বাকি যা কিছু এমনি পরে থাক
ছাই হোক না উড়ে উড়ে আমার তাতেই বা কী এলোমেলো হলো
এভাবে কলকল কারুজশব্দে তুমিই চিহ্নরতি
স্রোতে স্রোতে বন্যায় বন্যায় নিষ্ঠুর পাড় ভেঙে চলা
তুমিই ইছামতী
আর কেন আর কেন মায়াবী উচ্চারণ
এসো উমা নির্মাণে থাক অনন্ত মৈথুন
এখন একটা ছোট্টো শীষ দেব
পাখিরা নিশ্চল এসে বসবে আঙ্গুলপ্রান্তে
গোলারঙের বারুদ উঠবে পশ্চিমামেঘ ঘেঁষে
এমনকি বাড়ির বাগান ঘিরে জঙ্গলদেশ
ভূগোল শুনবো ভেদ হতে থাকবে
গাছেদের জন্মরহস্য
সমুদ্রায়ন
জাহাজিয়া গল্পে জমে থাকা সমস্ত আঁশবাতাস
ঠিক মতো ধরতে গেলে ছুঁয়ে যাবে জহরদের করিকাঠবাড়ি
আমাদের পাড়া দিয়ে কখন বয়ে গেছে পানামা প্রণালী
ওই যে চৌক-ত্রিভুজ লাল-নীল জলযানে দস্যু যাত্রীরা
খুলিহাড়ের পত পত পতাকারা
আরও হাতছানি থাকে নটিলাস ও কলম্বাসের কম্পাসে
সামুদ্রিক বৃষ্টির মাঝে ঝিনুকেরা উঠে আসে রিক্সার পা-দানি
বারান্দার অপরাজিতার টবে
নোনাজলে দৈনিক ভাসছে সকালের থৈ থৈ জলে
ডুবো পাহাড়ের মতো জেগে পরেশ টি-স্টল
ডুবে গেছে সমস্ত ওয়ার্ডভিত্তিক মানচিত্রায়ন
আমি নেমে পড়ি দিগন্তজলে
শহরের নাব্যতা মাপতে
নিমচিত্র
(১)
পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি সিনেমারা কেমন বাক্স হয়ে
চাকা হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ...
আর আমি মাঝখানে ঝুলে আছি
ঠিক নবীন নয় এরকম পরিচয়পত্র গলায় ঝুলছে
(২)
এখানে কফিগন্ধ নিয়ে সন্ধ্যা নামছে
জাগলারির সীমারেখা বেয়ে মৃদু সরঞ্জাম রেখে
উঠে গেছে আজকের পসার
‘আমি ভালো নেই’ বলে অচেতন মুঠোফোন
...বলার এখানে শেষ হলো না কিছুতেই
(৩)
আত্মবাদী পোস্টারে ছেয়ে গেছে শহর
বাড়িঘর দোকানপাট ঢাকা পড়েছে
খুলে গেছে অলিগলি
চোলাই বারান্দা
দলছুট আলোক বিজ্ঞানে চৈত্র সেলের রকমারি
...প্রলুব্ধ প্রতিবেদন
(৪)
মুহূর্তের উৎসবে মেতে উঠেছিলাম আমি কী অসীম স্পর্ধা
মোটেই এ জগৎ জোড়া আয়োজনে আমার কিছু আসে যায় না
চুলোয় যাক ইট কাঠ টিনের কাঠামো নির্ভর পৃথিবীবুদবুদ
আমি কিছুতেই নিস্বর্গ আঁকতে পারি না
নদীর যখন নাম নেই
(১)
আহা! কী অনাবিল গমন তোমাতে
অনামিকা
স্তরে স্তরে কণায় কণায় তুমিই মধুছন্দা
আমার তাতেই বা কী এলোমেলো হলো
অশ্বহীন শয়ন যাত্রায় বিছানার এপ্রান্তে উঁকি
ভৌতিক আসবাব – নড়াচড়া
কেমন মসৃণ শিখাহীন আলোর শরীর
অন্ধকারেও সবজ়ে জেগে আছ
বিস্ময়ের মানবী চিহ্ন মেলে...
আমি যে আমাতে লুকিয়ে ফেলেছি যাবতীয় কৃপণতা
আমি যে আমাতে লুকিয়ে ফেলেছি সুপ্তগামিতা
ওহো, কেমন ভুলেছি দেখো এও নিয়মিত
লোভে লোভে আঁচড় কেটেছি যত্নলালিত ক্ষত
(২)
ওভাবে লোভী করে তুলো না আমায়
বেহায়ার মতো জড় করে ফেলব সমস্ত দেহজ শ্রম
বাদ বাকি যা কিছু এমনি পরে থাক
ছাই হোক না উড়ে উড়ে আমার তাতেই বা কী এলোমেলো হলো
এভাবে কলকল কারুজশব্দে তুমিই চিহ্নরতি
স্রোতে স্রোতে বন্যায় বন্যায় নিষ্ঠুর পাড় ভেঙে চলা
তুমিই ইছামতী
আর কেন আর কেন মায়াবী উচ্চারণ
এসো উমা নির্মাণে থাক অনন্ত মৈথুন
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন