দরবার
কাকে যেন খুঁজছে এই সন্ধ্যে ভাসানো পাখিরা। সবুজ বর্ণ ঝাঁক উড়ে যাচ্ছে প্রার্থনার দিকে। আজান ছোঁয়া গীর্জার ঘন্টা বেয়ে বেয়ে ওঠা না কি শাঁখে ফুঁ ডাকা আকুল ধ্বনি? লীন হয়ে যাবে দুরারোগ্য ব্যাধিদের মন ঘেঁষে থাকার অপচেষ্টা। একটু পরেই কি নেমে আসবে সেই শতাব্দী সেরা একটা লাইন!
লিরিক পিছল খাওয়া আশ্চর্য গলানো সোনা নেমে আসা চারদিক... চ্ছ্বটা দিচ্ছে।
‘এ ভাবে ছবি চাইলেই কি দেওয়া যায়?’ চিত্রকরের স্বর-বিদ্রূপ।
তৈলচিত্র আঁকা শেষ হয়ে গেলে তুলির শেষ টান ধুয়ে রাখবে ছবিওলা। বিকেল নেভানো মজলিসি ঝাড়বাতির রৌশন জাগল।
‘দেওয়া যায় না, না?’ নর্তকীর ঠোঁট-ছোঁওয়া হাসির আভাসে আভা লাগে।
বাদশাহের দরবারে দরবারী ছবির কত না দর...
একটু বিরহ ছোঁয়া সান্ত্বনা ঘুরপাক নিচ্ছে নর্তকীর ঘুঙুর ঘুরে ঘুরে। উঠে আসছে উত্তেজক পানীয় থেকে... দুরন্ত নদীর স্রোত থেকে কোমল বাষ্প উঠলে যেমন হয়, সেই ঘুরপাক খাওয়া এক তৃপ্ত জাগরণ। কিনার থেকে আলোটা আরেক কিনারের দিকে... এ আলোর পান্ডুলিপি পুরনো কোনো এক ধূসর যুগের উদাস লাগা। ঘুঙুরের গতি আর ছবিওলার তুলির টানে এ দরবারী মজলিসে আজ বাদশাহের মেজাজ-জৌলুস।
এর পরের ছবিটা নর্তকীর পায়ের দ্রুত। নর্তকী ‘দরিয়া’। দরিয়ার পানিও বুঝি বা হার মানল এইবার... স্রোত থমকে ঢেউ থমকে নাচ উঠছে। ছবিওলার আর তুলি সরে না।
বাদশাহ অবাক দেখলেন, ঘুঙরু ছিঁড়ে ছিঁড়ে ছিটকে যাচ্ছে সেই কিনার বেয়ে নামা আলোর দিকে। সে আলোয় ভাসছে ধূসর যুগের এক আবছা পান্ডুলিপি, শতাব্দী সেরা কোনো শব্দের স্রোত যেন!
কাকে যেন খুঁজছে এই সন্ধ্যে ভাসানো পাখিরা। সবুজ বর্ণ ঝাঁক উড়ে যাচ্ছে প্রার্থনার দিকে। আজান ছোঁয়া গীর্জার ঘন্টা বেয়ে বেয়ে ওঠা না কি শাঁখে ফুঁ ডাকা আকুল ধ্বনি? লীন হয়ে যাবে দুরারোগ্য ব্যাধিদের মন ঘেঁষে থাকার অপচেষ্টা। একটু পরেই কি নেমে আসবে সেই শতাব্দী সেরা একটা লাইন!
লিরিক পিছল খাওয়া আশ্চর্য গলানো সোনা নেমে আসা চারদিক... চ্ছ্বটা দিচ্ছে।
‘এ ভাবে ছবি চাইলেই কি দেওয়া যায়?’ চিত্রকরের স্বর-বিদ্রূপ।
তৈলচিত্র আঁকা শেষ হয়ে গেলে তুলির শেষ টান ধুয়ে রাখবে ছবিওলা। বিকেল নেভানো মজলিসি ঝাড়বাতির রৌশন জাগল।
‘দেওয়া যায় না, না?’ নর্তকীর ঠোঁট-ছোঁওয়া হাসির আভাসে আভা লাগে।
বাদশাহের দরবারে দরবারী ছবির কত না দর...
একটু বিরহ ছোঁয়া সান্ত্বনা ঘুরপাক নিচ্ছে নর্তকীর ঘুঙুর ঘুরে ঘুরে। উঠে আসছে উত্তেজক পানীয় থেকে... দুরন্ত নদীর স্রোত থেকে কোমল বাষ্প উঠলে যেমন হয়, সেই ঘুরপাক খাওয়া এক তৃপ্ত জাগরণ। কিনার থেকে আলোটা আরেক কিনারের দিকে... এ আলোর পান্ডুলিপি পুরনো কোনো এক ধূসর যুগের উদাস লাগা। ঘুঙুরের গতি আর ছবিওলার তুলির টানে এ দরবারী মজলিসে আজ বাদশাহের মেজাজ-জৌলুস।
এর পরের ছবিটা নর্তকীর পায়ের দ্রুত। নর্তকী ‘দরিয়া’। দরিয়ার পানিও বুঝি বা হার মানল এইবার... স্রোত থমকে ঢেউ থমকে নাচ উঠছে। ছবিওলার আর তুলি সরে না।
বাদশাহ অবাক দেখলেন, ঘুঙরু ছিঁড়ে ছিঁড়ে ছিটকে যাচ্ছে সেই কিনার বেয়ে নামা আলোর দিকে। সে আলোয় ভাসছে ধূসর যুগের এক আবছা পান্ডুলিপি, শতাব্দী সেরা কোনো শব্দের স্রোত যেন!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন