বাবা
পা ঝুলিয়ে বসে আছে। বাবা আর বাবার বন্ধু।
ফ্লাইওভার, নতুন। বাবা এই ফ্লাইওভারের প্রথম ক্যাসুয়ালটি। পেছন থেকে সুমোর ধাক্কা। বাবা এবং বাবার স্কুটার চূর্ণ বিচূর্ণ । বাবা বন্ধুকে বললো, তোর কেসটা ঠিক আছে! হার্ট ফেল, আমারটা ভাব!
বন্ধু বললো, খুব যন্ত্রণা হলো, খুব... তারপর কেমন হাল্কা হয়ে গেলাম...
নিচে পুরী এক্সপ্রেস যাচ্ছে।
বন্ধু -- তোর হনিমুন তো পুরীতে?
বাবা -- হ্যাঁ, সে কী বৃষ্টিরে! কোথাও বেরোতে পারি না
বন্ধু -- বেরোবার কী আছে? একটা গান ছিলো না, হম তুম এক কম্রে মে বন্ধ হো... গেয়েছিলিস?
বাবা হাসে। মাথার ওপর পার্থিব চাঁদ। আর একটা গান, ও চাঁদ, সামলে রেখো জোছনাকে... এটা হিট হয়েছিলো। ছেলে অভি যখন সম্ভাবিত... বাবা প্রায় সব সময় গাইতো, ও চাঁদ... আর এভাবেই অভির ডাক নাম হয়ে গেলো চাঁদু!
চাঁদু এখন অধ্যাপক। কলেজে পড়ায়। চাঁদু বিয়েও করেছে। ওর বৌ স্কুলে। চাঁদুর মা যূঁইকে হ্যাটা করে না। মা বলে ডাকে। একসাথে মলে যায়। মাল্টিপ্লেক্সেও। চাঁদু বরাবরের আলাভোলা! বাবা ভাবে, দুঃখ পায়। চাঁদুর বিয়ের আগেই সুমোর ধাক্কায় ওর... সেই থেকে সুমো দেখলেই এই অপার্থিব শরীরেও অস্বস্তি হয়...
বাবা আর বাবার বন্ধু নিচে তাকিয়ে রেললাইন দেখে। আলো লাইনের ওপর পিছলে যাচ্ছে! বন্ধু বলে, চল ও দিকটায় যাই... ও দিকে মানে বাজার... আলুর দাম এখন ১৬ টাকা... কী হবে এই দেশের? এ সব বলতে বলতে ওরা ঘুরে দাঁড়ায়...
বন্ধু বলে, আরে ওই তো চাঁদু... বাইকে... বাবা ছেলেকে দেখে... কী সুন্দর লাগছে চাঁদুকে... আর তখনই বাবা দেখে, তুমুল গতিতে ছুটে আসছে একটা সুমো... চাঁদু দেখছে না... অন্যমনস্ক... নিশ্চয়ই গান গাইছে... সুমোটার স্পীড কমছে না... বাবা বন্ধুকে বলে, চাঁদুকে মেরে দেবে রে...
সুমোর ড্রাইভার ব্রেক ফেল করে চিৎকার করছিলো... ভয়ে... সামনে একটা বাইক। লোকটা সরছে না... পাগলের মতো হর্ন বাজাতে থাকে ড্রাইভার...
প্রবল ঝাঁকুনি দিয়ে সুমো হঠাৎ থেমে যায়... ড্রাইভার হতবাক... ঘামছে... এ কী হলো? কী ভাবে হলো?
বাবা দেখে, চাঁদু স্পীড তুলে চলে যাচ্ছে... ও জানে না কী হতে যাচ্ছিলো... চলে যাচ্ছে নিশ্চিন্তে চাঁদু... বাবা মনে মনে বলে, বেঁচে থাক...
আর বন্ধুকে বলে, আজ বদলা নিলাম... শালা শুয়োরের বাচ্চা সুমো...
পা ঝুলিয়ে বসে আছে। বাবা আর বাবার বন্ধু।
ফ্লাইওভার, নতুন। বাবা এই ফ্লাইওভারের প্রথম ক্যাসুয়ালটি। পেছন থেকে সুমোর ধাক্কা। বাবা এবং বাবার স্কুটার চূর্ণ বিচূর্ণ । বাবা বন্ধুকে বললো, তোর কেসটা ঠিক আছে! হার্ট ফেল, আমারটা ভাব!
বন্ধু বললো, খুব যন্ত্রণা হলো, খুব... তারপর কেমন হাল্কা হয়ে গেলাম...
নিচে পুরী এক্সপ্রেস যাচ্ছে।
বন্ধু -- তোর হনিমুন তো পুরীতে?
বাবা -- হ্যাঁ, সে কী বৃষ্টিরে! কোথাও বেরোতে পারি না
বন্ধু -- বেরোবার কী আছে? একটা গান ছিলো না, হম তুম এক কম্রে মে বন্ধ হো... গেয়েছিলিস?
বাবা হাসে। মাথার ওপর পার্থিব চাঁদ। আর একটা গান, ও চাঁদ, সামলে রেখো জোছনাকে... এটা হিট হয়েছিলো। ছেলে অভি যখন সম্ভাবিত... বাবা প্রায় সব সময় গাইতো, ও চাঁদ... আর এভাবেই অভির ডাক নাম হয়ে গেলো চাঁদু!
চাঁদু এখন অধ্যাপক। কলেজে পড়ায়। চাঁদু বিয়েও করেছে। ওর বৌ স্কুলে। চাঁদুর মা যূঁইকে হ্যাটা করে না। মা বলে ডাকে। একসাথে মলে যায়। মাল্টিপ্লেক্সেও। চাঁদু বরাবরের আলাভোলা! বাবা ভাবে, দুঃখ পায়। চাঁদুর বিয়ের আগেই সুমোর ধাক্কায় ওর... সেই থেকে সুমো দেখলেই এই অপার্থিব শরীরেও অস্বস্তি হয়...
বাবা আর বাবার বন্ধু নিচে তাকিয়ে রেললাইন দেখে। আলো লাইনের ওপর পিছলে যাচ্ছে! বন্ধু বলে, চল ও দিকটায় যাই... ও দিকে মানে বাজার... আলুর দাম এখন ১৬ টাকা... কী হবে এই দেশের? এ সব বলতে বলতে ওরা ঘুরে দাঁড়ায়...
বন্ধু বলে, আরে ওই তো চাঁদু... বাইকে... বাবা ছেলেকে দেখে... কী সুন্দর লাগছে চাঁদুকে... আর তখনই বাবা দেখে, তুমুল গতিতে ছুটে আসছে একটা সুমো... চাঁদু দেখছে না... অন্যমনস্ক... নিশ্চয়ই গান গাইছে... সুমোটার স্পীড কমছে না... বাবা বন্ধুকে বলে, চাঁদুকে মেরে দেবে রে...
সুমোর ড্রাইভার ব্রেক ফেল করে চিৎকার করছিলো... ভয়ে... সামনে একটা বাইক। লোকটা সরছে না... পাগলের মতো হর্ন বাজাতে থাকে ড্রাইভার...
প্রবল ঝাঁকুনি দিয়ে সুমো হঠাৎ থেমে যায়... ড্রাইভার হতবাক... ঘামছে... এ কী হলো? কী ভাবে হলো?
বাবা দেখে, চাঁদু স্পীড তুলে চলে যাচ্ছে... ও জানে না কী হতে যাচ্ছিলো... চলে যাচ্ছে নিশ্চিন্তে চাঁদু... বাবা মনে মনে বলে, বেঁচে থাক...
আর বন্ধুকে বলে, আজ বদলা নিলাম... শালা শুয়োরের বাচ্চা সুমো...
কাজল দা,বিশাল কাজ করলেন!অনেক অভিনন্দন!!স্বপন রায়
উত্তরমুছুন