শিশিরে ধোয়া আছে
মনের একটা দোষ আছে। তোমাকে বুঝিয়ে বলার মধ্যে যে গুণ আছে তা এখনও আমার রপ্তে আসে নি। রন্ধে এসেছে, এক দুই বাক্স দুপুর, যার ভিতরে বসে আমি আকাশ ছাড়াতে থাকি, মেঘের কল্পনা ভ্রম হলে অন্তরার ঠিক মাঝের সুরে বিচ্যুতি ঘটলে ধরিয়ে দিয়ে আবারও বসে থাকি চেয়ারে। লেখা আসে না, বলা আসে না। আসে যেটুকু সেটুকও দোষারোপ। দোষ দিলে মন পালায়। আমি তাকিয়ে দেখি, লিখে যাচ্ছি কিন্তু কোন শব্দই আর পরছে না খাতায়। ব্যপারগুলো নর্মাল, কিন্তু যখন ঘটে এবং যার সাথে ঘটে, তার মাথাও আমি পড়ে ফেলেছি, শুধু এসব পড়ে নেওয়া বস্তু কোনদিন কাউকে পড়িয়ে বাহবা পাওয়া গেলেও, নিজেকে পড়াতে হলে কান চোখ মুখ এবং অবশ্যই নাক বন্ধ করে সহ্য করতে হয়। তারপর আবার বেশি বারাবারি করলে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলার যদি কোনদিন এক অংশও শব্দ থেকে থাকে, তাকে রেকর্ড প্লেয়ারে তুলে, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে শুনতে হয়, ঠিক কতটা মর্মান্তিক হয়ে ওঠে মাঝে মাঝে, তোমায় বোঝানো।
প্রাচীন যত খারাপ খবর
বরাহনন্দনের পিতা কেশরীর কিশোরকালের বন্ধু থাকাকালীন বাড়িতে
আসা যাওয়া ছিল, লেবু লজেন্স খাওয়া ছিল, ধানক্ষেতের পর ধানক্ষেত একসাথে ঘুরে বেড়ানো ছিল।
সান্ধ্যকালে তখন জঙ্গলে জঙ্গলে ত্রিফলা আলোর এমন রোশনাই ছড়িয়ে পড়েনি। ঝাপসা সাঁকোর নীচ দিয়ে বয়ে চলা মৃদুবর্ণমালার নদী থেকে কেউ কেউ অক্ষরের
জ্বালানি নিয়ে যেতো বাড়িতে। তখন বাড়িতে বাড়িতে লেবুচিনির ঝোল,আমসত্তের বিছানা,ঘুঁটের চাঁদ থেকে পিছলে পরত ছাগলের পা,
এভাবেই দিন এগোতে থাকল, যত দিন এগোতে থাকল সংসারে সংসারে সেন্সার বোর্ডের সতর্ক বার্তা পৌঁছে গেল, কেউ গাল দেবে না, কেউ জামা খুলবে না কেউ হিসু টিসু করে ফেললে শুধু মুছিয়ে দিয়ে যাবে...
এরপরে আরও এগোতে থাকল সময়। সময় এগিয়ে এগিয়ে খালপার, খাদ, হিমালয়
পর্বতের মাথায় গিয়ে দাঁড়ালো ও বলল জামা খোলা বরাহকে আমি দেখেছিলাম সেই কিশোর
কেশরীর সাথে পাতা বাহার জঙ্গলের জলে, একসাথে গা ভিজাতে, তখন আসলে
জঙ্গলে জঙ্গলে ত্রিফলা আলোর রোশনাই ছিল না... কোন রাজা ছিল না... একটা ভালবাসা ছিল
যার নাম চিরকালই ভালবাসা ছিল।
বাস্তব যার দুর্বল থাকে
রোদ আমার পিঠ কেড়ে নিয়ে চলে গেল অন্য পিঠে
রুগ্ন পাথর বলে উঠল-
তুমি এখনও ছোট আছো বাবা...
সমস্ত ক্ষত ঘ্রাণকে পেয়ারা পাতার রস দিয়ে চেপে রাখো,
এমন কিছুই কষ্টকর ছিল না, এই মাঘ মাসের কষ্ট নিয়ে
ভাবা...
ডিকি খুলে, একের পর এক
সংশোধনে মাথা নামিয়ে আমি
সারাদিন হাওয়ার বিছানায়, নিজেও বইয়ে দিয়েছি, নিজেকে
স্বল্পই,
এতদিনের বিতারিত তুমি, তাড়না যন্ত্রে মেপে মেপে দ্যাখো
অলিন্দ্যের মোটে বাঁ পাশটি নিগড়ে, আজ হয়েছে তোমার,
প্রথমবই...
এখনও তো বাকি আছে, সুদূরে কণা কণা এগিয়ে আসা বিশ্ব
আমারও বাস্তব দুর্বল বলেই, এদিক ওদিক তাকানোকে এরিয়েছি,
শুধুই তো চোখ যাকে গেঁথে রাখলে, পেঁয়াজখোসা তুমি ভুলে
যাবে আমার গভীর,
আমিও বেশি বেশি ছিঁড়তে ছিঁড়তে মন, কেবলই আজ,
ফিরতে বেরিয়েছি।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন