কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

কবি অনুপ অশেষ-এর কবিতা

 

প্রতিবেশী সাহিত্য  

কবি অনুপ অশেষ-এর কবিতা  

(অনুবাদ : মিতা দাশ)

 


কবি পরিচিতিঃ প্রবীণ এবং গুরুত্বপূর্ণ হিন্দি কবি অনুপ অশেষ-এর জন্ম  (অনুপ সিং) ৭ এপ্রিল ১৯৪৫ সালে।  সোনাউড়া গ্রাম, সাতনা, মধ্যপ্রদেশ জন্মস্থান। ধর্মবীর ভারতী সম্পাদিত 'ধর্মযুগ' (১৯৭১) পত্রিকার মাধ্যমে সারা দেশে কবি হিসেবে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। হিন্দি নবগীতের সাথে বাঘেলিতে সমান্তরাল লেখা। বাঘেলিতে নবগীত ঘরানার জন হিন্দি নবগীতের পাশাপাশি বাঘেলি নবগীত আধুনিক সমসাময়িকতার দ্বারা আলাদা ছিল। বিরল চিত্রের মাধ্যমে তাঁর নতুন কবিতার জগতে সৃজনশীল উপস্থিতি দিয়েছেন হিন্দিতে ১৩টি নতুন গীতির সংগ্রহ এবং ৪টি বাঘেলিতে প্রকাশিত হয়েছে। চারটি অনুপ আশেশ-কেন্দ্রিক সমালোচনা ও গবেষণা গ্রন্থের সাথে আরও  চারটি মৌলিক সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। 

 

ঝুলন্ত কুর্তার গন্ধ

 

আম্মা, সন্ধ্যা হয়ে গেছে,

বাবা ফেরেনি,

কাছারি থেকে

থালা ধুয়ে রাখা দুপুরে।

 

দরজায়

লন্ঠন রেখে এসেছি,

মাঠে, খেতে

মোকদ্দমা জন্মানোর

খবর নিয়ে এসেছে পুলিশ।

 

আম্মা, সন্ধ্যা হয়ে গেছে,

দিন কেন লড়তে আসে

ক্লান্ত কাঠবিড়ালির মত। 

 

কুর্তার গন্ধ

পেরেকে ঝুলেছিল,

জল বিতরণ করেননি 

প্রধানরা

খরার কারণে তৃষ্ণার্ত ছিলেন।

 

আম্মা, সন্ধ্যা হল

চড়ুইয়ের ডানা

ছড়িয়ে পড়ে গেল জল পাত্র থেকে।

 

সাড়ে তিন হাত ব্যথা

 

সাড়ে তিন হাতের বেদনা, দুই তিলের প্রেম, পূর্বপুরুষের বংশ, সমুদ্র থেকে আজও খালি গম।

এক হাতে কোদাভা-কুটকি, অন্য হাতে কাস্তি, ঠাকুরমা গাছ লাগান আর নাতি নির্বাঁশিয়া করেন।

কালো গুহা কেড়ে নিল বাবার পুণ্য উপার্জন।

ডাল কাটা হয়েছিল এবং ফুল ফোটেনি, মুখ থেকে বালি বাজছিল, মাস্টার অন্ত্রে আঘাত করেছিল এবং লেখক বেত ভেঙেছিলেন।

ঝড়ে চোখের জল ভেসে যায় এবং অনেক চিঠি ঢেলে যায়।

 

ক্ষুধার্ত পাখি

 

রুটির গন্ধে, ক্ষুধার পাখি, হে বাবা! গরুকে দড়িতে বেঁধে রাখবেন না।

এই দড়িটি একটি ক্ষুধার্ত নাবিক দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল এবং তার অন্ত্রের গিঁটটি আলগা হয়েছিল, বালি পেট এবং চাঁদের মধ্যে হাতের ভাগ্যরেখাটি মুছে ফেলেছিল।

ওরে বাবা! মা মুন্নিকে কোলে নিয়ে আদর করছিল।

হুকুমের আপন বাপ-দাদারা বন্ধনে মরেছে, আমাদের সকলের বাছুর রোদে মরেছে, এখন এক ফোঁটা স্যুপও নেই, খুঁটিতে মাত্র একমুঠো চারণ আছে, সন্ধ্যা হলে বাছুরগুলো অন্য কোথাও চরায়।

বাবা হে! নাতির পা কোথায়?

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন