কবিতার কালিমাটি ১৩১ |
উদাসীন মল্ট
(৩৩)
জল নিয়েই মেঘে কি-রকম টানা বারান্দার ক্লিক
দুঃখ, সে তো জানলার
বর্ষাতি নিয়ে আবার কথাও বলছে তখনই ছপ ছপ
জল ক’রে ক’রে যে চোখ হয় চেরা-থ্রু 'ক্লিকড' এবার বিভাগ হবে বারান্দায় এবার
কয়েকটা টানা রিক্সায় সেরা হবে ঘাম’কে হারিয়ে দেয়া চ্ছাস
উ বাদ গেল উট অত বৃষ্টি জানে না কিছুই জানেনা বলে বৃষ্টিই জিতল আবার...
(৩৪)
জল
টল
ছল
চ্ছল
এই মিলগুলোর একটা দেশের ‘হবে কি হবে না’র সঙ্গে
কূট
শ্যুট
ব্রুট
মুট
এই শব্দে চুরচুর কাঁচা-রাস্তায় চলে গেল
গ্রাম আসে
জল হাসে
ধান-পাড়া
মই-হারা
মিল এত মিস করি
নাঝোঁকা ঝরোকাহিয়ায় দেখি
রক্ত আর বৃষ্টি
পড়ে আর ঝরে
বেশ একটা জটলা
খুন না আত্মহত্যা
প্রশ্ন জটলায়
ডানা
ভাঙা
রাঙা
ডানার
পাখিটা উড়ে গেল, পাখি্টা কিন্তু উড়েই গেল
(৩৫)
তুমি
আলোনিদানের কাঁখে আঁধারিয়া হল্ট
শব্দ হল তুমিতে
কার দুনিয়ালোটা কারই বা লভ-ইউ সাইন
লাভ নয়?
কার কাছে কাইঁকিচিরের আবেদন এত ময়ী
তুমি
না তোমার আবহ জুড়ে একটি বরষা শুধু
মেঘমর্মী
হল্ট শুনে থামল,তাকাল,বাজ ফেলল
চোখ এত স্পৃষ্ট ছিল না কখনো
তুমি শব্দটা আমি শব্দটায়
জল ঢালে
আলো মেশায়
(৩৬)
রয়ে যাওয়া আর সয়ে যাওয়া
মাটিতে পা
তার আগে মাথা ভাবে
পা কি ভাবে আলপথে নেমে আসা নাতিসরল আলোর বাঁকচাতুর্য এড়িয়ে
কি ভাবেই বা একটি আচমকা মেয়েকে
কী? কী?
শব্দে লোকাল চলে গেল
চুল উড়ছে
সরল কিন্তু, শুধু আলোটা
পা হাঁটে
নির্বাচনী গন্ধ মাখা পঞ্চায়েত-অফিস
এখন বন্ধ
ওহ মেয়েটা
ওই আলোরা
একটা লোকাল ট্রেন
কাল খুলবে কি না
মাথা থেকে পায়ের নখ অব্দি এই হিজিবিজি একটা রাত বানাচ্ছিল
পা
মাটিতেই এখনো, মাথায় তার নিচ্ছে সে
বাজাচ্ছে
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন