কবিতার কালিমাটি ১২৬ |
শীতনামা
(১)
পৃথিবী ঘোরে
কই!
সূর্যই তো আসে
বারবার
ভিতরে বিস্ময়
খেলা করে
চলে যাওয়াটা
নয়, ফিরে আসা মানুষটাই বিস্ময়কর!
নিকোটিন-গেলা
কাশি খুনীর মর্যাদা পাক এবার
(২)
হলদে কুয়োর
জল
মনে হয় ছিল,
থাকবেও
অদৃশ্য কুটুম
আসে দিলখুশ রাস্তা ধরে,
মধ্যাহ্ন ভোজনের
ঘ্রাণ সন্ধ্যাকালীন ধূপের সমান।
পায়েসান্ন তো
চাইনি, চেয়েছি ভাপা পিঠের নরম ধোঁয়া
(৩)
শূন্য হাঁড়ি
বাঁধা
খেজুর গাছের
গায়ে
পিছন ফিরে দেখি
অনন্ত বিয়োগে
খেজুরবন শূন্য
হওয়া...
বিমর্ষ গাছি,
অবহেলার গাছ, রক্তাক্ত পিঠও বংশানুক্রমিক...
(৪)
পর্যায়চ্যুতির
উপায় নেই কোনো
শীত হোক বা
গ্রীষ্ম
কাঁপা ঠোঁট
চঞ্চল হয় প্রথম চায়ের উষ্ণ ছোঁয়া পেয়ে
খরগোশের মত
চোখ বুজে আসে এরপর
জানলাপথে তখনও
শুধুই অনন্ত কুয়াশা।
ফরিয়াদী রাত
ঘুমিয়ে পড়ে
ফরিয়াদ... অক্ষরও!
মৃত সৈনিকের
অস্ত্রের মত পড়ে থাকে কাগজ, কলম
অসার হাত
নিষ্ঠুর শান্তির
মত চিলেকোঠা!
অন্ধকার বাতাস
অপত্য পরশ বুলায় দরজা-জানলার গায়ে
জানে পীড়িত,
ওদেরও তো কষ্ট
আছে ঘূণে খাওয়া।
ভ্রম
মনের ভিতর ভ্রম
খেলে, ভ্রমই খেলে শুধু
দাঁড়াশ জুটির
মত নির্বিষ
দু'য়ের খেলায়
পাথর নড়ে উঠলেও
গোখরো কালাচের ভয়
অল্প আঁচের
উশুম, তাতেই ভ্রম কত-
পুড়িয়ে দেবে
নাকি বাস্তুর ভিত?
বাহ।। দারুন।
উত্তরমুছুন