কবিতার কালিমাটি ১১৭ |
নশ্বর আয়ুর ভেতর
ছোট ছোট বৃত্তের ভেতর
ব্যবধান ছোট নাও হতে পারে
আঙুলের ডগায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে ছড়িয়ে থাকে
অগ্রন্থিত অনুষঙ্গ,
আজকাল ঘুমিয়ে পড়ি
ইচ্ছেরা প্রগাঢ হলে উপেক্ষা করি কূটকৌশল,
অসুখের দিন।
অধরা সাধ ভুলে যাওয়ার অজুহাত নিয়ে
চলে যাওয়া যেতে পারে
বাবেলের প্রাজ্ঞতার খাঁজে
হীরামন সেজেছিলো নাকি?
তবু নিশিগন্ধার সাথে এলায়ে থাকে রাত
নশ্বর আয়ুর ভেতর আলোছায়া বিচ্ছুরণ।
ভ্রমে ও অর্ধনিম বশীকৃত চোখে
নাচে হাওয়া, নাচে মগ্নতা
এক জন্মের নানা টুকরো ও বাসনার মুখ।
আবাহনে বিক্ষুদ্ধ হোক স্রোতের ঢেউ
রুপালি জলের রেখা
পুর্নভবা নদীটির এপার ওপার
প্রবল দুলুক, দুলতে থাকুক।
আমার আধেক বেলা
নিছক বলে যাওয়া
ফিরিয়ে নিয়ে এলো যে মুখ
কামার্ত, আকর, তাকে নিয়ে
দুস্তর স্মৃতির ভেতর
পাতাহীন চৈত্রের বিরান শস্যেরক্ষেত
পার করে যেতে যেতে
তুমুল বৃষ্টির ঐন্দ্রজালিক জানালায়
বুঁদ হয়ে থাকি।
স্মৃতি-বিস্মৃতির রাশি রাশি
ধুয়াকুন্ড উড়ে
কুয়াশার কিনারায়
প্রেমিক প্রহরের আখ্যান।
গহীন থেকে উঠে আসা সুর
না বিষাদ না পুলক
শুধু এক মোহন আলাপন নিয়ে
বেজে যায় আধেক-বেলা।
শুভরাত্রি
দিনের তাড়নায় নিস্পন্দ সময়
আর কোন আবক্ষ ডুবে থাকার নদী নেই।
কাঁথির কাছ ঘেঁষা মেঘ, তীব্র হাওয়ার টানে
কাঁটা সমেত নেমে আসে বৃষ্টির ঝাঁকে
শীতের ভেতর হিম গুঁড়ি মেরে নামে
পাতাহীন শব্দের ডাল বেয়ে
মানুষের নিবাসে, আর তখন
উলের পরতে ওম ধ’রে
স্পর্শ ও চুম্বনের দূরত্বে মাথা রেখে
রাত্রি ঘুমিয়ে থাকে।
অসাধারণ লাগল।
উত্তরমুছুন