কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ১৪ মে, ২০২২

তৈমুর খান

 

কবিতার কালিমাটি ১১৭


এই দেশের নাগরিক

 

যেভাবে দোলাচ্ছ জীবন, দোলাও

দুলে দুলে পেরিয়ে যাই একুশ শতক

 

খাঁচার ভেতর খাঁচা

তার ভেতর এই বাঁচা

জল দাও রোজ স্বাধীনতার পেয়ালায়

 

কে যায়? সংবিধান!

ধর্মনিরপেক্ষ জমি

জমিতে জমিতে ফসল সংশয়

 

ও ভোটবাক্স, দোলাও জীবন

আমরা গণতন্ত্র খুঁটে খাই।

 

ঘাতক

 

পাতায় পাতায় অনিশ্চিত জীবন লেখা গাছ

ছায়ায় বসেছ ঘাতক!

দু’দণ্ড বিশ্রাম নিয়ে হাতে তুলে নেবে অস্ত্র

বিমূঢ় পথের ধারে লুটিয়ে থাকব

নিথর বিশুষ্ক দাহ্যকাঠ।

 

আমার মৃত পৌরুষে উড়ে এসে বসবে বিকেলের কাক

মিছিলের শেষ শ্লোগানের ডাক

বাতাসের স্বরলিপি হয়ে বেজে যাবে —

কেউ আর ডাকবে না

আকাশের শূন্য করতলে

অচল পয়সার মতো ভেসে উঠবে চাঁদ

 

ইতিহাস রোজ এসে লিখে নেয় :

আর একটি কারবালা, ধ্বংস এবং এজিদ…  

 

প্রণয়কাল

 

ঝড়ের মাতম এগিয়ে আসে

শ্রাবণের কাঁকন ভেঙেছে

উপছে ওঠে বুক, বুকের সন্দিগ্ধ শিষ

 

এলোমেলো বাঁশি খুলে দেয় সুর

স্বরলিপি কে কার সন্তান?

বাগানে বাগানে চলে বৃষ্টির স্কুল

 

আলপথ ধরে হেঁটে আসে মরশুম

ঝিলিক রোমাঞ্চ জামা পরেছে বিকেল

আমরা পাতক হই রোজ তার কাছে

 

কেউ নেই লাইনে এখন, সন্ধের শ্লোক শুধু

অঙ্কুরোদ্গম চাইছে স্বপ্নের বীজ

প্রত্যেক প্রেমিকই চাষি, হৃদয় তার শ্রাবণের মাঠ


3 কমেন্টস্:

  1. তৈমুর দার কবিতার মধ‍্যে কী যে যাদু আছে বলে বোঝাতে পারবো না। সেই যাদুমন্ত্রে আমিও কবিতার মধ‍্যে হারিয়ে যাই। একদিন তাঁর কবিতা না পড়লে মনে হয় নির্বাসনে আছি।
    ধন্যবাদ।
    হামিদুল ইসলাম। দঃ দিনাজপুর।

    উত্তরমুছুন