কবিতার কালিমাটি ১১৪ |
জেগে থাক সোনালী আলোর শিরস্ত্রাণ
ভালোবাসার
স্বপ্ন লালিত কৈশোর তারুণ্যের
রঙিন দিনের
শেষে
শুদ্ধ নারী
আমি
ইস্রাফিলের
শিঙা ফুঁকে
বলি- দ্যাখো,
আমার সর্বাঙ্গ
পবিত্র আলোয়
জ্যোতির্ময়-
সে তোমরা দেখতে
হলে ছেড়ে এসো লোভ
অহংকার আর নিস্তেজ
নিস্তরঙ্গ জীবন!
মনে রেখো, কোন
অহঙ্কারের পচা শামুকে
কাটেনি আমার
কোন পা-
জগৎ ভেসেছে
এই পার্থিব আলোর বন্যায়!
রন্ধ্রে রন্ধ্রে
অনুরণিত সে আলোয়
বুক ভরেছি-
অবগাহন করেছি
সত্যের নীল জোছনায়-
মিথ্যে আর নিন্দুকের
ভয়ে ভাসা পৃথিবী
ঠেলে দেয়
সততায় লীলায়িত
শালুক পাতার জীবন
মৃত্যুর নীল
দংশনে
বুকে জমা অভিমানের
খেয়ায়
ভাসি
ঠোঁটে জমা
স্মিত হাসি
নরম সোঁদা মাটির
বুকে
স্তব্ধ অন্ধকারে
হেঁটে যাই
বহুদূর-
আরো আরো
বহুদূর-
মাঠ ঘাট ভাসানো
সোনারং রোদ্দুর
ছুঁয়ে দেয় নীরব
জলরেখা
চোখের পাতার
কোণ ছুঁয়ে -
তবু আমি দৃঢ়তায়
বাঁধি বুক-
পথ জানে-
আর জানে জ্বলে
যাওয়া
নীরব ঝিনুক-
সন্তর্পন প্রত্যাখ্যানে
ফিরিয়েছি যত
সুখ-
আঘাত না লাগে
যেন কারো;
সে আমার, ধাত
নয়-
জানে ভালো
যত নিন্দুক!
এ আমি আঘাত
পারি না দিতে
তোমাদের-
যতই হরণ করো-
যতই
লুটেছো যত
আলোকিত প্রহরের
রাত-
লুটেছো সোনালী
আলো
সকাল দুপুর!
মিথ্যায়
ভেসে যায়
নষ্ট লোকের
রাজ
সাজ সাজ মিথ্যার
যত গান-
সত্যের দাবদাহে
নষ্ট লুকিয়ে
যায়
হারায় অন্ধকার
গহ্বরে-
তবু জানি
শত সহস্র বলিদানে
জেগে থাক্
সোনালী আলোর
শিরস্ত্রাণ!
গোধূলীর সুরতাল
এতটা কাছে ছিলে
তোমার প্রবল
স্রোত ছলকে পড়তো
আমার সইয়ের
ঢেউ খেলানো
চুলের ঢলে
কবে যে এতটা
দূরে চলে গেলে
চোখের জলের
শুকনো দাগ ছাপিয়ে
জানান দিলে
গোধূলী বেলায়
জল ভরবার ছলে-
হৃদি ভেসে গেছে
কর্ণফুলীর জলে-
গোধূলীর সুরতালে-
মনের কথা হলো
না তো বলা
ভেসে গেল সই
কালযমুনার গাঙে
দূরে গেলে যদি-
দূর হতে এসো
কাছে-
যে জল হারায়-
আসে না কী আর
তমশা কাটানো
রাতে?
ব্যর্থ প্রেমের দায় নেই ব'লে
ব্যর্থ হবার
দায় নেই তাই
বারবার ম'রে
বাঁচতে হয়নি
ব্যর্থ প্রেমের
দাসখৎ নিয়ে
আসে না মানুষ-
যত প্রেম
যত মিথ্যে বাসনা
নারীর দায় তো
নয়!
বাঁচবার সাথে
হারজিত সয়ে
মিটে যায়
যত
নীল জনমের জয়-
ব্যর্থ হবার
ভয়ে ভয়ে কেউ
কারো দায় নিয়ে বাঁচতে পারে না!
হারবার দায়ে
বাঁচবার সাধ
জীবন দায়েই
বাঁচে!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন